হোম > প্রযুক্তি

জরুরি চিকিৎসায় সময় কমাতে ড্রোন

টি এইচ মাহির

যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর ৯০ শতাংশ কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত মানুষ বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসা পাওয়ার আগে কিংবা হাসপাতালে যাওয়ার আগে মারা যান। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুসারে, দেশটিতে প্রতিবছর হাসপাতালের বাইরে ৩ লাখ ৫৬ হাজারের বেশি মানুষের কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। তাঁদের অধিকাংশই প্রাথমিক চিকিৎসা না পেয়ে মারা যান। 

হৃৎপিণ্ডের পেশির নিয়মিত সংকোচন অপ্রত্যাশিতভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া হলো কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট। ফলে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোতে রক্ত প্রবাহ কমে যায়। হৃৎপিণ্ড পুনরায় সচল করতে প্রাথমিকভাবে প্রয়োজন হয় কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন বা সিপিআর এবং ডিফিব্রিলেটর। এই প্রাথমিক চিকিৎসা সরঞ্জামগুলো সরবরাহ করে আমেরিকার জাতীয় জরুরি সেবা। আমেরিকার জাতীয় জরুরি সেবার নম্বর ৯১১-তে ফোন করলে অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে বাড়িতে পৌঁছায় প্রাথমিক চিকিৎসা সরঞ্জাম।

২০১৭ সালের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৯১১-তে কলের পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে একটি জরুরি চিকিৎসাসেবা ইউনিট গড়ে সাত মিনিট সময় নেয়। যদিও অঞ্চলভেদে কমবেশি হতে পারে। তাই আমেরিকার ডিউক ইউনিভার্সিটির হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞ এবং মেডিসিনের সহযোগী অধ্যাপক মনিক অ্যান্ডারসন স্টার্কস মনে করেন, প্রযুক্তি এই সময়কে আরও কমিয়ে আনতে পারে। এ কাজ করতে পারে ড্রোন। আমেরিকার দুটি শহরে নেওয়া হবে এই ব্যবস্থা। ফোরসিথ কাউন্টি এবং জেমস সিটি কাউন্টিতে এ মাস থেকেই চালু হতে পারে ড্রোনভিত্তিক চিকিৎসা পরিষেবা। জরুরি মুহূর্তে ড্রোন বাড়িতে পৌঁছে দেবে প্রাথমিক চিকিৎসা সরঞ্জাম। এ উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য হৃদ্‌রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা নিশ্চিত করা। অধ্যাপক স্টার্কস মনে করেন, এতে প্রায় চার মিনিট সময় কমে আসবে।

জাতীয় জরুরি সেবায় ফোন করলে শহরের শেরিফ কার্যালয় থেকে একজন ফোনটি ধরবেন। যদি সে ফোনে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের কথা বলা হয়, তাহলে জরুরি চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যোগাযোগ না করে পাঠানো হবে। ড্রোনটি মূলত প্রাথমিক চিকিৎসা সরঞ্জাম বা ফার্স্ট এইড সরবরাহ করবে। এর ওজন প্রায় ২২ পাউন্ড। এটি প্রতি ঘণ্টায় ৬০ মাইল চলতে পারে। ড্রোনে থাকবে ডিফিব্রিলেটর, যা ব্যবহার করতে ৯১১ থেকে ফোনে সাহায্য পাওয়া যাবে। ফোরসিথ এবং জেমস সিটি কাউন্টিতে ছয়টি ড্রোন ঘাঁটি থাকবে। ৯১১ নম্বরে ফোন করলে নির্দিষ্ট ঠিকানায় পৌঁছে যাবে সেসব ড্রোন।

গত বছর সুইডিশ একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ড্রোনকে রাস্তার ট্রাফিক এবং জ্যামে পড়তে হয় না বলে সেগুলো অ্যাম্বুলেন্সের চেয়ে দুই-তৃতীয়াংশ সময় আগে পৌঁছায়। তাই যুক্তরাষ্ট্রে জরুরি উদ্ধারকাজ এবং চিকিৎসাসেবায় ড্রোন ব্যবহার বাড়ছে। দেশটির অন্যান্য শহরেও পানি থেকে উদ্ধারকাজে এবং অগ্নিকাণ্ডে ড্রোন ব্যবহার করতে দেখা গেছে, যা অনেক কার্যকর।

তথ্যসূত্র: কেএফএফ হেলথ নিউজ ডট ওআরজি এবং ওএসএইচএ ডট জিওভি

প্রযুক্তির দখল কার হাতে

গুগলের নতুন এআই টুল

বৈদ্যুতিক জাহাজ নির্মাণশিল্পে চীনের আধিপত্য

পাসওয়ার্ডের নিরাপত্তা কতটুক: জেনে নিন বিশ্বে সর্বাধিক ব্যবহৃত পাসওয়ার্ড

ভুয়া ওয়েবসাইট চেনার উপায়

আগুনের ঝুঁকিমুক্ত ব্যাটারি বানালেন বিজ্ঞানীরা

উসকানিমূলক কনটেন্ট বন্ধে কঠোর অবস্থানে সরকার

উসকানিমূলক কনটেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মেটাকে বিটিআরসির চিঠি

বিবিএসের জরিপ: ইন্টারনেটের আওতার বাইরে দেশের ৪৪% পরিবার

ডিজিটাল রূপান্তর মানে শুধু অ্যাপ নয়, রাষ্ট্রের ভিত্তি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব