কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ওপেনএআই’র নতুন চ্যাটবট চ্যাটজিপিটিতে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। দুটি পরীক্ষাতেই পাস করতে সক্ষম হয়েছে এই চ্যাটবট। তবে কোনটিতেই ভালো নম্বর পায়নি এটি।
সিএনএন এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন পরীক্ষার চারটি কোর্সে এবং পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হোয়ার্টন স্কুল অব বিজনেসে পরীক্ষা নেওয়া হয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির। আইন পরীক্ষায় মোট ৯৫টি বহুনির্বাচনী প্রশ্ন এবং ১২টি রচনামূলক প্রশ্ন দেওয়া হয় চ্যাটজিপিটিতে। সবগুলি কোর্সে পাস করলেও পেয়েছে ‘সি প্লাস’ গ্রেড। অপরদিকে, পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হোয়ার্টন স্কুলের বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কোর্সের পরীক্ষা গুলিতে তুলনামূলক ভালো করেছে এই চ্যাটবট। এই পরীক্ষা গুলিতে বি থেকে ‘বি মাইনাস’ পর্যন্ত গ্রেড পেয়েছে চ্যাটজিপিটি।
হোয়ার্টনের অধ্যাপক ক্রিশ্চিয়ান টেরউইশ বলেন, ‘বিজনেস ম্যানেজমেন্টের বেসিক অপারেশনস ম্যানেজমেন্ট ও প্রসেস অ্যানালাইসিসের প্রশ্নে চ্যাটজিপিটি খুব ভালো উত্তর দিয়েছে। তবে উচ্চতর বিষয়ের প্রশ্ন গুলিতে ভালো উত্তর দিতে পারেনি এমনকি সাধারণ গণিতে খুব আশ্চর্যজনক ভুল করেছে।’
সম্প্রতি, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের সরকারি স্কুলগুলোতে ছাত্র ও শিক্ষকদের জন্য ‘চ্যাটজিপিটি’ ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গত ৩ জানুয়ারি ‘নিউইয়র্ক সিটি ডিপার্টমেন্ট অব এডুকেশন’ আনুষ্ঠানিকভাবে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তারা জানিয়েছে, ‘চ্যাটজিপিটি ছাত্রদের শেখার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।’
বিভাগটির মুখপাত্র জেনা লাইল বলেছেন, ‘শিক্ষার্থীদের শিখনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চ্যাটবটে ফলাফল হিসেবে দেখানো বিষয়বস্তুর নিরাপত্তা ও নির্ভুলতার বিষয়ে উদ্বেগের কারণে নিউইয়র্ক শহরের পাবলিক স্কুলগুলোর নেটওয়ার্ক এবং ডিভাইসগুলোতে চ্যাটজিপিটি অ্যাক্সেস সীমাবদ্ধ করা হয়েছে।’
লাইল আরও বলেছেন, ‘টুলটি প্রশ্নের দ্রুত এবং সহজ উত্তর দিতে সক্ষম হলেও এটি চিন্তা এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা তৈরি করে না। এসব দক্ষতা শিক্ষা এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে আজীবন সাফল্যের জন্য অপরিহার্য।’