হোম > প্রযুক্তি

শিশুদের মোবাইল আসক্তি দূর করার ‘সমাধান’ পেয়েছে চীন

প্রযুক্তি ডেস্ক

চীনের শিশু–কিশোরদের ভিডিও গেমের প্রতি আসক্তি কমেছে। এমন দাবি করেছে মোবাইল গেমিং নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে যুক্ত চায়না গেম ইন্ডাস্ট্রি গ্রুপ কমিটি। তারা বলছে, গত বছরের মাঝামাঝি নতুন নিয়ম করার পর কার্যকরভাবে শিশু–কিশোরদের স্ক্রিন টাইম কমানো গেছে।

ভিডিও গেম আসক্তিকে চীনা কর্মকর্তারা এক সময় ‘আধ্যাত্মিক আফিম’ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন। এই আসক্তি কমাতে কঠোর নীতি ঘোষণা করে সরকার। শিশুদের সপ্তাহে তিন ঘণ্টার বেশি গেম খেলা নিষিদ্ধ করা হয়। ২০২১ সালের আগস্ট থেকে এই নীতি কার্যকর করেছে চীন সরকার।

এই আইন করার ফলে চীনের গেমিং ইন্ড্রাস্ট্রি সরকারি অনুমোদনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছিল। এটি ছিল দেশের বিশাল প্রযুক্তি খাতে চীনা সরকারের বড় ধরনের নিয়ন্ত্রণ আরোপের অংশ। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ভিডিও-গেম কোম্পানি টেনসেন্টের মতো জায়ান্টরা এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এই প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করতে ডেটা সরবরাহ করেছে সিএনজি। প্রতিবেদনের উপসংহারে লেখা হয়েছে, চীনের ৭৫ শতাংশ শিশু–কিশোর গেমাররা এখন সপ্তাহে তিন ঘণ্টারও কম সময় মোবাইল বা কম্পিউটারে গেম খেলে। টেনসেন্টসহ চীনা গেম কোম্পানিগুলো নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে ‘উল্লেখযোগ্য ফলাফল’ অর্জন করেছে বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।

তবে কোভিড লকডাউন এবং অনলাইন লার্নিংয়ে জোর দেওয়ায় স্ক্রিন টাইম নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, গেমিং বিধিনিষেধ অনুসরণ করে টিকটকের চীনের সংস্করণ দুয়িন (Douyin) ১৪ বছরের কম বয়সীদের দিনে ৪০ মিনিটের বেশি প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করা থেকে বিরত রাখতে পেরেছে।

গেমিং আসক্তির কারণে চীনা শিশু–কিশোরদের মধ্যে ক্ষীণদৃষ্টি, মনোযোগের সমস্যা, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা এবং ঘুমের সমস্যার মতো মানসিক ও শারীরিক বিকার দেখা দিচ্ছে বলে দাবি করছে সরকার।

কিন্তু শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে এবং দেশে কোভিডের বিস্তার আরেক দফা বৃদ্ধির কারণে শিশুরা বাড়িতে বেশি সময় কাটাচ্ছে। বিনোদনের জন্য শিশুদের আবার কিছু অভিভাবক তাঁদের গেমিং অ্যাকাউন্টে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছেন। চীনের প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যেও গেমিং ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

চলতি সপ্তাহে চায়না ডেইলি জানিয়েছে, অনেক কেয়ার-হোমের বাসিন্দারা তাদের নাতি-নাতনিদের সঙ্গে বন্ধন শক্তিশালী করতে অনলাইনে গেম খেলতে শুরু করেছেন।

এদিকে এশিয়ার গেমের বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান নিকো পার্টনার্স বলছে, এই প্রতিবেদনের নেতিবাচক দিক হচ্ছে—চীনের রাজস্ব কমছে। তবে সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা লিসা কসমাস হ্যানসন বলছেন, অর্থনীতিতে গতি, ই–স্পোর্টস, পিসি গেমিং এবং চীনের ৭০ কোটির বেশি গেমারের মধ্যে উৎসাহ বৃদ্ধির মতো ইতিবাচক ভবিষ্যতের ইঙ্গিতও এর মধ্যে রয়েছে।

হ্যানসন বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে গেমের অনুমোদন এবং শিশু–কিশোরদের জন্য বিধিগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এখন ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ তৈরি হতে পারে। এতে পুরো শিল্পেরই উন্নয়ন ঘটবে।

বিবিএসের জরিপ: ইন্টারনেটের আওতার বাইরে দেশের ৪৪% পরিবার

ডিজিটাল রূপান্তর মানে শুধু অ্যাপ নয়, রাষ্ট্রের ভিত্তি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারির সাশ্রয়ী ফোন আনল রিয়েলমি

এআইকে ব্যক্তিগত অর্থ উপদেষ্টা বানালেন ২৭ বছরের এই সিইও

চর্চা ‘লার্নিং থ্রো প্র্যাকটিস’ধারণাকে প্রাধান্য দেয়

মিরর ব্যাকটেরিয়া কি আধুনিক পৃথিবীর নতুন মারণাস্ত্র

অনলাইনে কেনাকাটার নিরাপদ উপায়

গুগলের নতুন ফিচার: সাধারণ হেডফোনই হবে রিয়েল–টাইম অনুবাদক

ডিজিটাল উদ্যোক্তা প্রকল্প: পাঁচ বছরে অর্ধেক কাজ, ব্যয় বাড়ল ১৭৮ কোটি

যুক্তরাষ্ট্রে মাকে হত্যার পর ছেলের আত্মহত্যা, চ্যাটজিপিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ পরিবারের