ছবি তৈরিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে অ্যাডোবির বহু গ্রাহকের চাকরি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। পাশাপাশি এআইয়ের জনপ্রিয়তার ফলে অ্যাডোবির নিজস্ব ব্যবসায়িক মডেল দুর্বল হয়ে যেতে পারে বলে বিজনেস ইনসাইডারের এক প্রতিবেদন বলছে।
এবছর নতুন ছবি তৈরির নতুন এআই টুল ফায়ারফ্লাই চালু করেছে অ্যাডোবি। এর মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে যেকোনো লেখাকে ছবিতে রূপান্তরিত করা যায়। এছাড়া অ্যাডোবির সবচেয়ে জনপ্রিয় টুল ফটোশপে এখন লেখা থেকে ছবি রূপান্তর করা যায়।
গ্রাফিক ডিজাইনারদের একটি বড় অংশ অ্যাডোবির এই সফটওয়্যার ব্যবহার করে। তাই সব মিলিয়ে গ্রাহকদের কাজ হারানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন অ্যাডোবির কর্মীরা।
যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক প্রতিষ্ঠান গোল্ডম্যান স্যাসের মতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যে নতুন জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে, তা বিশ্বজুড়ে চাকরির বাজারে বড় প্রভাব ফেলতে পারে ৷ এর ফলে ৩০ কোটি স্থায়ী চাকরি হুমকির মুখ পড়তে পারে।
অ্যাডোবি ছাড়াও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার টুল মিডজার্নি, ওপেন এআইয়ের ডাল–ই ব্যবহার করে লিখিত নির্দেশনার মাধ্যমে ছবি তৈরি করা যায়। ইনস্ট্রাগ্রাম পোস্টের ব্যাকগ্রাউন্ড তৈরি করে দিতে পারে মিডজার্নি, আবার ওয়েবসাইটের লোগো বিনামূল্যে বানিয়ে দেয় বিং এআই চ্যাট।
প্রযুক্তিগত এসব অগ্রগতিকে ‘হতাশাজনক’ অভিহিত করে অ্যাডোবির কর্মীরা বলছেন, এআইয়ে জয়জয়াকার গ্রাফিক ডিজাইনারদের জন্য ‘অস্তিত্বের সংকট’ তৈরি করেছে। এর ফলে অ্যাডোবির ব্যবসার মডেল ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও তাঁরা চিন্তিত।
তবুও কিছু কর্মীর মধ্যে আশাবাদী মনোভাব আছে। তারা মনে করেন, এআই কর্মীদের দক্ষতা বাড়াবে এবং ফ্রিল্যান্সারদের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করবে।