ভারতে নারী গেমারের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়লেও কম্পিউটার গেম ডেভেলপমেন্ট ও নেতৃত্বের ক্ষেত্রে তাদের অংশগ্রহণ এখনো সীমিত। অল ইন্ডিয়া গেম ডেভেলপার্স ফোরাম (এআইজিডিএফ), কোরাল রিক্রুট ও এম-লিগের যৌথ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে গেমারদের মধ্যে ৪৪ শতাংশই নারী। তবে গেম ডেভেলপার হিসেবে তাদের উপস্থিতি মাত্র ১২-১৪ শতাংশ। আর টেকনিক্যাল কাজে নারীর উপস্থিতি আরও কম, মাত্র ৬-৯ শতাংশ এবং নেতৃত্বমূলক পদে তাদের অংশগ্রহণ ১০ শতাংশেরও নিচে।
উইমেন ইন গেমস বলেছে, গেমিংয়ে নারীরা একটি উদীয়মান শক্তি হিসেবে বিকাশ পাচ্ছে, যা ঐতিহ্যগতভাবে পুরুষদের দখলে ছিল। ভারতে এখন ৪৪ শতাংশ গেমারই নারী। অর্থাৎ, দেশটিতে ২৬০ মিলিয়ন বা ২৬ কোটিরও বেশি নারী গেমার রয়েছে। তবে এই অগ্রগতির পরেও গেমিং শিল্পে নারীর উপস্থিতি, বিশেষ করে নির্মাতা, ডেভেলপার এবং নেতৃত্বের পদে সীমিত।
মোবাইল প্রিমিয়ার লিগ (এমপিএল) সিইও নামরথা স্বামী বলেন, ‘গেমিং শিল্পে অগ্রগতির বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে এবং এর উন্নয়নে নারীদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। নারীদের অন্তর্ভুক্ত করে আমরা শুধু নারীদের উপকার করি না, বরং পুরো শিল্পটাকেই সমৃদ্ধ করি। মেবল অ্যাডিসের (বিশ্বের প্রথম নারী ডেভেলপার) উত্তরাধিকার আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, গেমিংয়ের ভবিষ্যৎ শুধু খেলোয়াড় হিসেবে নয়, সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী, ডিজাইনার এবং বিপ্লবী হিসেবে নারীর প্রয়োজন। এটি আমাদের জন্য বিশেষ মুহূর্ত, যখন আমরা সীমানা ভাঙতে পারি এবং কম প্রতিনিধিত্বের চক্র ভাঙতে পারি।’
রিপোর্টটি এই লিঙ্গবৈষম্য মোকাবিলা করার জন্য কিছু সুপারিশ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী এসটিইএম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং ও গণিত) শিক্ষা প্রচারের ওপর জোর দেওয়া, অন্তর্ভুক্তিমূলক নিয়োগনীতির বাস্তবায়ন এবং মেন্টরশিপ ও নেতৃত্ব প্রশিক্ষণ প্রদানের পরামর্শ। এ ছাড়া, প্রতিবেদনটি লিঙ্গবৈচিত্র্যের ব্যবসায়িক সুবিধাগুলো তুলে ধরেছে এবং জানিয়ে দিয়েছে যে, বৈচিত্র্যময় দলগুলো আর্থিক ও কৌশলগতভাবে সাধারণত ভালো পারফর্ম করে থাকে।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি