সেমিকন্ডাক্টরের গুণগত মান উন্নয়নে ১ হাজার ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। সেই সঙ্গে জাতীয় সেমিকন্ডাক্টর প্রযুক্তি কেন্দ্র চালু করার লক্ষ্যে ৫০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করা হবে। গত শুক্রবার হোয়াইট হাউস এসব তথ্য জানিয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে বলছে, ২০২২ সালের আগস্টে চিপস অ্যান্ড সায়েন্স অ্যাক্ট অনুমোদন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস। এই আইন অনুয়ায়ী, সরকার ৫ হাজার ২৭০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে। যার মধ্যে, সেমিকন্ডাক্টর চিপ উৎপাদনে ৩ হাজার ৯০০ কোটি ডলার ভর্তুকি এবং গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য ১ হাজার ১০০ কোটি ডলার। এ ছাড়া চিপ কারখানা তৈরিতে বিনিয়োগের ওপর ২৫ শতাংশ কর মওকুফ করা হবে। যার আর্থিক পরিমাণ ২ হাজার ৪০০ কোটি ডলার।
যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা ও উন্নয়ন প্রোগ্রামের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু ন্যাশনাল সেমিকন্ডাক্টর টেকনোলজি সেন্টার। এই সংস্থা উন্নত সেমিকন্ডাক্টর প্রযুক্তির গবেষণা ও নমুনা মডেল তৈরি করবে।
হোয়াইট হাউসের এক অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রী জিনা রাইমন্দো বলেন, কেন্দ্রটি একটি সরকারি–বেসরকারি অংশীদারত্বের ভিত্তিতে হবে, যা উদ্ভাবন, সংযোগ, নেটওয়ার্ক, সমস্যা সমাধান ও যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার জন্য সরকার, শিল্পের গ্রাহক, সরবরাহকারী, শিক্ষাবিদ, উদ্যোক্তা, পুঁজিপতিদের একই সঙ্গে কাজ করার সুযোগ দেবে।
জ্বালানি সেক্রেটারি জেনিফার গ্রানহোম বলেছেন, বিদেশে চাকরি হারানো ও যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিয়োগ তৈরি করার জন্য চিপস কে কেন্দ্র করে এই শিল্প কৌশল নেওয়া হয়েছে। যে জাতি গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ করে না, তারা দুর্বল। আর যুক্তরাষ্ট্রে দুর্বল হতে চায় না।
ন্যাশনাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি কাউন্সিল (এনএসটিসি) উদীয়মান সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানিগুলোকে বাণিজ্যিকীকরণের দিতে অগ্রসরে সাহায্য করতে বিনিয়োগ তহবিল প্রতিষ্ঠা করবে। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে আইনটি ন্যাশনাল অ্যাডভান্সড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারিং প্রোগ্রাম ও সেমিকন্ডাক্টরগুলোর ওপর গুরুত্ব দিয়ে নতুন উৎপাদন প্রতিষ্ঠান তৈরি করে।
সোমবার রাইমন্দো আরও বলেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে চিপ উৎপাদনে অর্থায়নের জন্য বেশ কয়েকটি বড় পুরস্কার দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সরকার কোম্পানিগুলোর সঙ্গে জটিল ও চ্যালেঞ্জিং আলোচনার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। তবে তিনি কোম্পানিগুলোর নাম প্রকাশ করেননি। পুরস্কারগুলো কারখানা তৈরি করতে ও উৎপাদন বাড়াতে সহায়তা করবে।
রাইমন্দো উল্লেখ্য করেন, টিএমএমসি, স্যামসাং, ইন্টেল কোম্পানিগুলোর মধ্যে এসব প্রস্তাবনা মধ্যে মধ্যে রয়েছে। এত বড় আকারের ও নতুন প্রজন্মের জটিল বিনিয়োগ যুক্তরাষ্ট্রের এর আগে করা হয়নি বলে দাবি করেন রাইমন্দো।