৬৩ বছর বয়সী ক্যাথেরিন সুলিভান ২৫ বছর ধরে কাজ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় ব্যাংক কমনওয়েলথ ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়ায় (সিবিএ)। তবে, গত জুলাইয়ে তাঁকে ছাঁটাই করে দেয় প্রতিষ্ঠানটি। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই! শুধু ক্যাথেরিন একা নন, জুলাইয়ে চাকরিচ্যুত হন প্রতিষ্ঠানটির ৪৪ কর্মী।
অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম নিউজ কর্প অস্ট্রেলিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী সিবিএই প্রথম প্রতিষ্ঠান, যারা সরাসরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি দিয়ে মানবকর্মীর কাজ করাচ্ছে। আরও চমকপ্রদ বিষয় হলো, ছাঁটাই হওয়া এই কর্মীরাই প্রশিক্ষণ দিয়েছে ওই চ্যাটবটগুলোকে।
রাজধানী ক্যানবেরায় এআই-বিষয়ক এক সেমিনারে ক্যাথেরিন বলেন, ‘বাম্বলিবি নামের একটি চ্যাটবটকে আমি প্রশিক্ষণ দিচ্ছিলাম। সেটির জন্য স্ক্রিপ্ট লেখা এবং তার উত্তরগুলো কেমন হয় তা পর্যবেক্ষণ করা—সবই আমি করেছি। চ্যাটবটকে আরও উন্নত করতে সাহায্য করেছি। কিন্তু বুঝতে পারিনি একদিন এই চ্যাটবটই আমার চাকরি কেড়ে নেবে!’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম এসব চ্যাটবট দেশের বাইরে পাঠানো হবে। কিন্তু ২৫ বছর কাজ করার পর যে এই চ্যাটবটকে আমার স্থলাভিষিক্ত করে আমাকে চাকরিচ্যুত করা হবে, তা আমি কল্পনাও করিনি। নিজের অজান্তেই আমি আমার চাকরি খোয়ানোর ব্যবস্থা করছিলাম!’
চ্যাটবটগুলোকে প্রশিক্ষণ দেওয়া শেষ হলে তাঁকে অন্য কোনো ডিপার্টমেন্টে বদলি করা হবে বলে ভেবেছিলেন ক্যাথেরিন। কিন্তু তাঁকে অবাক করে দিয়ে প্রতিষ্ঠানের তরফ থেকে জানানো হয়, তাঁকে আর দরকার নেই প্রতিষ্ঠানের। জানান, এই খবর শুনে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমি এআইয়ের ব্যবহারকে সমর্থন করি এবং কর্মক্ষেত্রে ও বাইরে এর প্রয়োজনীয়তাও আমি দেখি। কিন্তু আমার মনে হয়, এআই দিয়ে কপিরাইট আইন লঙ্ঘন করা বা মানুষের চাকরি কেড়ে নেওয়া ঠেকাতে কিছু নিয়ম থাকা দরকার।’