হোম > প্রযুক্তি

৫০০ এআই প্রশিক্ষককে একযোগে ছাঁটাই করলেন মাস্ক

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

এক্সএআইয়ের সবচেয়ে বড় টিম হচ্ছে এই ডেটা অ্যানোটেশন টিম বা মানব প্রশিক্ষক দল। ছবি: সংগৃহীত

ইলন মাস্কের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) কোম্পানি এক্সএআই তাদের ডেটা অ্যানোটেশন দলের অন্তত ৫০০ কর্মীকে ছাঁটাই করেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে ইমেইলের মাধ্যমে ছাঁটাইয়ের বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম বিজনেস ইনসাইডার জানায়, এই ছাঁটাই মূলত ‘জেনারেলিস্ট এআই টিউটর’দের (জেনারেল এআই প্রশিক্ষক) লক্ষ্য করেই করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, এখন থেকে তারা ‘বিশেষজ্ঞ এআই প্রশিক্ষকদের’ নিয়োগ ও সম্প্রসারণে বেশি গুরুত্ব দেবে।

এক ইমেইলে লেখা ছিল, ‘আমাদের হিউম্যান ডেটা কার্যক্রমের বিস্তৃত পর্যালোচনার পর আমরা আমাদের বিশেষজ্ঞ এআই প্রশিক্ষকদের সম্প্রসারণ ও অগ্রাধিকার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই কৌশলগত পরিবর্তন তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে। এর ফলে অধিকাংশ জেনারেলিস্ট এআই টিউটর আর প্রয়োজন নেই এবং আপনাদের চাকরি এখানেই শেষ হচ্ছে।’

কর্মীদের জানানো হয়েছে, তাঁদের চুক্তির মেয়াদ অনুযায়ী অথবা ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বেতন দেওয়া হবে, তবে ছাঁটাইয়ের দিন থেকেই তাঁদের কোম্পানির সিস্টেমে প্রবেশাধিকার বন্ধ হয়ে যাবে।

এক্সএআইয়ের সবচেয়ে বড় টিম হচ্ছে এই ডেটা অ্যানোটেশন টিম বা মানব প্রশিক্ষক দল। এই দলের মূল দায়িত্ব গ্রোকের চ্যাটবটকে শিক্ষা দেওয়া—বিশ্বকে বুঝতে সাহায্য করার জন্য কাঁচা ডেটাকে প্রাসঙ্গিক ও শ্রেণিবদ্ধ করা।

গত শুক্রবার দুপুরে দলটির মূল স্ল্যাক চ্যানেলে (অনলাইন যোগাযোগের প্ল্যাটফর্ম) দেড় হাজারের বেশি সদস্য থাকলেও সন্ধ্যায় সেই সংখ্যা কমে ১ হাজারের নিচে নেমে আসে।

এ ছাড়া গতকাল রাতেই এক্সএআই তাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে জানায়, তারা বিশেষজ্ঞ এআই প্রশিক্ষকদের জন্য নিয়োগ চালু রেখেছে এবং এই দলকে ১০ গুণ বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

ছাঁটাইয়ের কয়েক দিন আগেই কয়েকজন সিনিয়র কর্মী, যাঁদের মধ্যে টিমের সাবেক প্রধানও রয়েছেন, তাঁদের স্ল্যাক অ্যাকাউন্ট ডিএক্টিভেট করা হয়। এরপর একাধিক কর্মীকে ডেকে এনে তাঁদের কাজের পর্যালোচনা, প্রকল্প ও অর্জন নিয়ে কথা বলা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৯ জন কর্মী বিজনেস ইনসাইডারকে জানান, তাঁদের জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, কোনো সহকর্মীর কাজ তাঁরা আলাদাভাবে উল্লেখ করতে চান কি না।

গত বৃহস্পতিবার রাতে এক ঘোষণায় কর্মীদের জানানো হয়, ডেটা অ্যানোটেশন টিমে পুনর্গঠন আসছে। এরপর কর্মীদের একটি সিরিজ পরীক্ষা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়, যার মাধ্যমে তাঁদের ভবিষ্যৎ ভূমিকা নির্ধারণ করা হবে।

এই ঘোষণায় বলা হয়, পরীক্ষাগুলো শুক্রবার সকালের (স্থানীয় সময়) মধ্যেই সম্পন্ন করতে হবে। পরীক্ষার বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল স্টেম, কোডিং, ফাইন্যান্স, মেডিসিন, এমনকি গ্রোকের ‘ব্যক্তিত্ব ও মডেল আচরণ’ এবং ‘শিটপোস্টার ও ডুমস্ক্রোলারস’-সংক্রান্ত ক্ষেত্রও।

উল্লেখ্য, তঁরা এমন ব্যক্তি, যাঁরা ইচ্ছাকৃতভাবে আজগুবি, অর্থহীন, মজার বা উল্টাপাল্টা পোস্ট করে অনলাইনে, বিশেষ করে মেমে বা কমেন্ট আকারে।

আর ডুমস্ক্রোলারস হলো এমন ব্যবহারকারী, যারা অবিরাম নেতিবাচক বা ভীতিকর খবর বা তথ্য স্ক্রল করে পড়ে, এমনকি তাতে মানসিক চাপ বাড়লেও থামতে পারে না।

চ্যাটবটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘রেড টিমিং’-সংক্রান্ত পরীক্ষাও ছিল, পাশাপাশি অডিও ও ভিডিও কনটেন্ট নিয়ে আলাদা পরীক্ষা নেওয়া হয়।

কর্মীরা আরও জানান, এই দলের নেতৃত্বে সদ্য এসেছেন ডিয়েগো পাসিনি। তিনি স্ল্যাকে এসব পরীক্ষার ঘোষণা দেন। লিংকডইন অনুসারে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে এক্সএআইতে যোগ দেন ডিয়েগো।

এক্সএআই তাদের টিমকে মূলত স্টেম, কোডিং, ফাইন্যান্স, লিগ্যাল ও মিডিয়া বিশেষজ্ঞদের মধ্যে ভাগ করেছে। এ ছাড়া একটি বড় জেনারেলিস্ট টিমও রয়েছে, যারা ভিডিও, অডিও অ্যানোটেশন থেকে শুরু করে লেখালেখির মতো নানা কাজ করেন।

কয়েকজন কর্মী জানান, স্টেম ও কোডিং সম্পর্কিত পরীক্ষাগুলো কোডসিগন্যাল প্ল্যাটফর্মে নেওয়া হয়, অন্যগুলো গুগল ফোরামসে।

ডিয়েগোর পোস্টে ২০০-এর বেশি কর্মী গ্রিন চেক ইমোজি দিয়ে সাড়া দেন এবং ১০০-এর বেশি মন্তব্য ও প্রশ্ন করে প্রতিক্রিয়া জানান।

একজন কর্মী পরীক্ষার সময় নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে লেখেন, ‘দিন শেষে সবাই বাড়ি চলে যাওয়ার পর এ ধরনের নির্দেশনা দেওয়া একেবারেই দৃষ্টিকটু।’ এরপর ওই কর্মীর স্ল্যাক অ্যাকাউন্টও ডিঅ্যাক্টিভেট করে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন একাধিক কর্মী।

প্রযুক্তির দখল কার হাতে

গুগলের নতুন এআই টুল

বৈদ্যুতিক জাহাজ নির্মাণশিল্পে চীনের আধিপত্য

পাসওয়ার্ডের নিরাপত্তা কতটুক: জেনে নিন বিশ্বে সর্বাধিক ব্যবহৃত পাসওয়ার্ড

ভুয়া ওয়েবসাইট চেনার উপায়

আগুনের ঝুঁকিমুক্ত ব্যাটারি বানালেন বিজ্ঞানীরা

উসকানিমূলক কনটেন্ট বন্ধে কঠোর অবস্থানে সরকার

উসকানিমূলক কনটেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মেটাকে বিটিআরসির চিঠি

বিবিএসের জরিপ: ইন্টারনেটের আওতার বাইরে দেশের ৪৪% পরিবার

ডিজিটাল রূপান্তর মানে শুধু অ্যাপ নয়, রাষ্ট্রের ভিত্তি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব