প্রতি বছর ২১ মার্চ ইউনেসকো বিশ্ব কবিতা দিবস উদ্যাপন করে। ১৯৯৯ সালে এই দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়। মনে করা হয়, কবিতার জন্ম হাজার হাজার বছর আগে। মৌখিক ও লিখিত রূপে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে একে। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন সংস্কৃতিতে কবিতার অসংখ্য ধরন রয়েছে।
কবিতার জনপ্রিয় কয়েকটি ধরন হলো—
হাইকু: তিন লাইনের কবিতা। যার প্রথম লাইনের সিলেবল সংখ্যা পাঁচ, এরপরের লাইনে সাত এবং সর্বশেষ লাইনে পাঁচ।
লিমেরিক: হাস্যরসমূলক পাঁচ লাইনের কবিতা।
সনেট: সনেট বা চতুর্দশপদী কবিতা মূলত ১৪ লাইনের কবিতা। যেটি মূলত ২ ভাগে বিভক্ত হয়। প্রথম অংশে ৮ লাইন ও পরের অংশে থাকে ৬ লাইন। প্রথম আট লাইনকে অষ্টক এবং পরবর্তী ছয় লাইনকে ষষ্ঠক বলে।
ভিলেনেল: ভিলেনেল মূলত ১৯ লাইনের কবিতা। ৫টি ৩ লাইনের চরণ ও একটি ৪ লাইনের চরণ দিয়ে গঠিত।
মুক্ত শ্লোক: এটি মূলত কোনো নির্দিষ্ট কাঠামো ছাড়া কবিতা।
গজল: একটি নির্দিষ্ট ছন্দের কবিতার আরবি ও ফারসি রূপ।
গদ্য কবিতা: গদ্যের ধরনে লেখা কবিতা।
ওড: এই ধরনের কবিতা মূলত নির্দিষ্ট ব্যক্তি, স্থান, বস্তু বা ঘটনাকে কেন্দ্র করে লেখা হয়।
সেস্টিনা: মূলত ৩৯ লাইনের কবিতা যার ৬ লাইনের ৬টি চরণ থাকে এবং একটি ৩ লাইনের চরণ থাকে।
মহাকাব্য: দীর্ঘ বর্ণনামূলক কবিতা।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি কবিতা লিখতে পারে
কবিতাকে মানুষের অভিব্যক্তি প্রকাশের অন্যতম শৈল্পিক রূপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাম্প্রতিক অগ্রগতিকে আমলে নিয়ে আমরা চ্যাটজিপিটিকে একটি কবিতা লিখতে দিই। চ্যাটজিপিটিকে শেক্সপিয়ারের একটি সনেটের মতো করে কবিতা লিখে দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। একই বিষয়বস্তুর ওপর ভিত্তি করে কবিতা লিখতে বলা হয়েছিল চ্যাটজিপিটিকে। পাশাপাশি মিলিয়ে দেখুন দুটি সনেট:
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অবশ্য এখন গল্প, সংবাদ প্রতিবেদন, উপন্যাস, চিত্রকল্প এমনকি সিনেমাও বানিয়ে দিচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কখনো নতুন জ্ঞান উৎপাদন এবং মৌলিক সৃষ্টিতে মানুষের কাছাকাছিও আসতে পারবে না।