হোম > প্রযুক্তি

এআই চ্যাটে প্রতি প্রম্পটে পানির খরচ কত, জানাল গুগল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

জেমিনিতে দেওয়া একটি টেক্সট প্রম্পটের জন্য শূন্য দশমিক ২৪ ওয়াট-ঘণ্টা শক্তি খরচ হয়। ছবি: আনাদোলু এজেন্সি

প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক (এআই) চ্যাটবট জেমিনির পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়, প্রতি টেক্সট প্রম্পট (বার্তা) প্রসেস করতে জেমিনির যে পরিমাণ শক্তি লাগে, তা ৯ সেকেন্ড টেলিভিশন দেখার সমান। সেই সঙ্গে প্রতি টেক্সট প্রম্পটের জন্য গড়ে ৫ ফোঁটা পানি খরচ হয়।

গুগল ক্লাউডের ব্লগপোস্ট প্রকাশিত এই গবেষণাটি এআই প্রযুক্তির পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত বিশ্লেষণ হাজির করেছে।

গবেষণায় বলা হয়েছে, গড়ে জেমিনিতে দেওয়া একটি টেক্সট প্রম্পটের জন্য শূন্য দশমিক ২৪ ওয়াট-ঘণ্টা শক্তি, শূন্য দশমিক শূন্য ৩ গ্রাম কার্বন এবং শূন্য দশমিক ২৬ মিলিলিটার পানি খরচ হয়।

গুগলের ইঞ্জিনিয়াররা জানিয়েছেন, আগে ধারণা করা হতো—এআই চ্যাটবট প্রতি ইন্টারঅ্যাকশনে ৪৫ থেকে ৫০ মিলিলিটার পানি খরচ করে। তবে নতুন গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, এটি মাত্র শূন্য দশমিক ২৬ মিলিলিটার পানি—অর্থাৎ আগের চেয়ে কয়েকশ গুণ কম পানি খরচ করে।

গত এক বছরে মডেলের উন্নয়ন এবং সফটওয়্যার অপটিমাইজেশনের মাধ্যমে শক্তি ব্যবহারে ২৩ গুণ সাশ্রয় সম্ভব হয়েছে। একই সঙ্গে, উন্নত রিসোর্স ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ব্যবহারের মাধ্যমে কার্বন নিঃসরণ কমেছে ১ দশমিক ৪ গুণ।

প্রতিটি প্রম্পটের জন্য শক্তি ব্যবহারে আগের চেয়ে ৩৩ গুণ এবং কার্বন নিঃসরণে ৪৪ গুণ হ্রাস ঘটেছে।

তবে আগের গবেষণাগুলো কী অতিরঞ্জন? গুগলের গবেষণা বলছে, আগের বেশির ভাগ গবেষণা শুধুমাত্র সক্রিয় অবস্থায় প্রসেসরের শক্তি ব্যবহারের দিকে নজর দিত। তবে এই গবেষণায় আরও বিস্তৃতভাবে বিবেচনা করা হয়েছে। যেমন: মেশিনের নিষ্ক্রিয় অবস্থায় বিদ্যুতের খরচ, মেমোরি এবং প্রসেসরের বিদ্যুতের ব্যবহার, ও ডেটা সেন্টারের কুলিং সিস্টেম।

২০২৩ সালে গুগল ঘোষণা দেয়, পানি সংকটপূর্ণ এলাকায় তাদের নতুন ডেটা সেন্টারগুলোতে এয়ার-কুলিং সিস্টেম ব্যবহার করা হবে, যাতে করে ওইসব অঞ্চলে পানির ব্যবহার প্রায় শূন্যে নামিয়ে আনা যায়।

গবেষণাপত্রটি সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, যদিও একটি একক এআই প্রম্পটের পরিবেশগত প্রভাব নগণ্য, তবে বিশ্বব্যাপী প্রতিদিন বিলিয়ন বিলিয়ন এআই চ্যাট চালানো হয়। ফলে সামগ্রিক প্রভাব বিশাল।

এ কারণে গুগলের কৌশলের মধ্যে রয়েছে অত্যন্ত দক্ষ ডেটা সেন্টার, নিজস্ব হার্ডওয়্যার, এবং কার্বন-নিরপেক্ষ শক্তির লক্ষ্য অর্জন।

গত এক বছরে গুগলের স্কোপ ২ (পরোক্ষ কার্বন নিঃসরণ) ৪৭ গুণ এবং স্কোপ ১ ‍+ ৩ (হার্ডওয়্যার সংশ্লিষ্ট নিঃসরণ) ৩৬ গুণ কমেছে।

গবেষণা নিবন্ধে গুগল আরও বলে, এআই প্রযুক্তির পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়নে স্বচ্ছতা ও একক মানদণ্ড থাকা জরুরি। আমরা আহ্বান জানাই, যেন এই গবেষণায় ব্যবহৃত বা অনুরূপ সমন্বিত পরিমাপ পদ্ধতি বিশ্বব্যাপী গৃহীত হয়, যাতে এআই সক্ষমতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশগত দক্ষতাও বাড়ে।’

তবে গবেষণাটি জেমিনির দৈনিক চ্যাট সংখ্যা, প্রম্পটের পরিমাণ বা ব্যবহার হার সম্পর্কে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি।

জাতীয় সোর্স কোড নীতিমালার খসড়া প্রকাশ

প্রবাসীরা ৬০ দিনের বেশি দেশে থাকলে মোবাইল ফোন নিবন্ধন করতে হবে

৭০০০ এমএএইচ ব্যাটারির ফোন এনেছে অপো

কর্মীদের ফোনের টেক্সট মেসেজ দেখতে পারবেন বস, গুগলের নতুন ফিচার

‘সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধে শিশুদের নিরাপত্তাঝুঁকি আরও বাড়বে’, ব্যাখ্যায় যা বলল ইউটিউব

তিন পার্বত্য জেলার স্কুলে বসছে স্টারলিংক সংযোগ

এআই বিশ্বে ধনী-দরিদ্র বৈষম্য আরও তীব্র করে তুলবে: জাতিসংঘ

টেলিটকের প্রযুক্তিগত বৈষম্য নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন

খাওয়া যায় যে রোবট, পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন স্বাদেরও

এ বছরের এগিয়ে থাকা গ্যাজেট