হোম > প্রযুক্তি

জেমিনির ন্যানো ব্যানানা দিয়ে বিনা মূল্যে দিনে যে কয়টি ছবি বানাতে পারবেন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

টুলটি ফিগারিন, অবতার ও সিনেম্যাটিক স্টাইলে ছবি তৈরি করে দেয়। ছবি: সংগৃহীত

ইন্টারনেটে রীতিমতো ঝড় তুলেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনির নতুন ন্যানো ব্যানানা টুল। প্রচলিত ইমেজ জেনারেটরের চেয়ে ভিন্নভাবে কাজ করে এই এআই। খুব সহজেই সাধারণ ছবি থেকে বাস্তবধর্মী ৩ডি মডেলের ছবি তৈরি করে।

শুধু টেক্সট প্রম্পট দিলে টুলটি ফিগারিন, অবতার ও সিনেম্যাটিক স্টাইলে ছবি তৈরি করে দেয়। ফলে অভিজ্ঞ পেশাদার থেকে শুরু করে নতুন ব্যবহারকারী, শিক্ষক, ডিজাইনার, কনটেন্ট ক্রিয়েটর—সবার জন্য এটি হয়ে উঠেছে সহজলভ্য এবং জনপ্রিয়।

তবে অনেকেই জানেন না টুলটি ব্যবহার করে প্রতিদিন বিনা মূল্যে কয়টি ছবি বানানো যাবে।

ইমেজ জেনারেশন সীমা পরিবর্তন

ব্যবহারকারীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় গুগল সম্প্রতি ন্যানো ব্যানার ইমেজ তৈরির নির্দিষ্ট সীমা তুলে দিয়েছে। আগে ব্যবহারকারীরা দৈনিক ১০০ ছবি এবং প্রো ও আলট্রা সাবস্ক্রাইবাররা ১ হাজার পর্যন্ত ছবি তৈরি করতে পারতেন।

তবে এসব সংখ্যা এখন আর প্রকাশ করছে না গুগল। বরং, ব্যবহারকারীদের অ্যাকসেস এখন ‘বেসিক অ্যাকসেস (ফ্রি) ও ‘হাইয়ের অ্যাকসেস’ (প্রো ও আলট্রা সাবস্ক্রাইবার)—এ দুটি স্তরে ভাগ করা হয়েছে।

গুগলের মতে, সার্ভার লোড, সাবস্ক্রিপশন অবস্থা এবং বৈশ্বিক চাহিদার মতো বিভিন্ন পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে এখন সীমা নির্ধারিত হয়।

এতে ফ্রি ব্যবহারকারীদের পিক আওয়ারে কিছুটা সীমাবদ্ধতা অনুভব হতে পারে।

পুরোনো নিয়মে ব্যবহারকারীরা বিনা মূল্যে প্রতিদিন ১০০টি ছবি তৈরি করতে পারতেন। এআই টুলের ক্ষেত্রে এটি ছিল অন্যতম উদার অফার। সংখ্যাটি নির্দিষ্টভাবে বলা না হলেও অন্যান্য এআইয়ের তুলনায় (যেমন: চ্যাটজিপিটি যেখানে দিনে মাত্র দুটি ছবি তৈরি করা যায়) জেমিনিতে এখনো সবচেয়ে বেশি ছবি বিনা মূল্যে তৈরি করা যায়।

তবে গুগল জানিয়েছে, চাহিদা বেড়ে গেলে ফ্রি অ্যাকসেস সাময়িকভাবে সীমিত করা হতে পারে, যাতে সার্ভার স্থিতিশীল থাকে। আগে প্রো ও আলট্রা ব্যবহারকারীরা দিনে ১ হাজার ছবি তৈরি করতে পারতেন। এখন সেই সংখ্যা সরিয়ে দিয়ে গুগল জানিয়েছে, তারা পাবেন ‘সর্বোচ্চ অ্যাকসেস’।

এর মানে, গুগল সার্ভার অনুযায়ী তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রসেসিং, দ্রুত রেন্ডারিং এবং সবচেয়ে কম ল্যাগ টাইম নিশ্চিত করছে। যাঁরা পেশাদার পর্যায়ে ন্যানো ব্যানানা ব্যবহার করেন, তাঁদের জন্য সাবস্ক্রিপশনই সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পথ।

ছবি তৈরির ফিচার জনপ্রিয় হতে থাকায় সার্ভারের ওপর চাপ পড়ছে ব্যাপকভাবে। ফলে নির্দিষ্ট সংখ্যা না দিয়ে টিয়ার-ভিত্তিক অ্যাক্সেস-ব্যবস্থা চালু করেছে গুগল। এর ফলে পেইড ব্যবহারকারীরা সন্তুষ্ট থাকেন, সার্ভারও থাকে নিরাপদ।

ন্যানো বানানা অন্য যেকোনো টুলের চেয়ে দ্রুত কাজ করে অথচ ছবির মূল বৈশিষ্ট্যগুলো অক্ষুণ্ণ রাখে। এর ফলে সময় বাঁচে, মানও থাকে চমৎকার। ব্যবহারকারীবান্ধব ইন্টারফেস, সৃজনশীলতা ও ভাইরাল জনপ্রিয়তা এর দ্রুত গ্রহণযোগ্যতার মূল কারণ।

তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

প্রযুক্তির দখল কার হাতে

গুগলের নতুন এআই টুল

বৈদ্যুতিক জাহাজ নির্মাণশিল্পে চীনের আধিপত্য

পাসওয়ার্ডের নিরাপত্তা কতটুক: জেনে নিন বিশ্বে সর্বাধিক ব্যবহৃত পাসওয়ার্ড

ভুয়া ওয়েবসাইট চেনার উপায়

আগুনের ঝুঁকিমুক্ত ব্যাটারি বানালেন বিজ্ঞানীরা

উসকানিমূলক কনটেন্ট বন্ধে কঠোর অবস্থানে সরকার

উসকানিমূলক কনটেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মেটাকে বিটিআরসির চিঠি

বিবিএসের জরিপ: ইন্টারনেটের আওতার বাইরে দেশের ৪৪% পরিবার

ডিজিটাল রূপান্তর মানে শুধু অ্যাপ নয়, রাষ্ট্রের ভিত্তি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব