গত কয়েক মাসে প্রযুক্তি জায়ান্টগুলোকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রতিযোগিতায় নামিয়ে দেওয়ার অন্যতম কৃতিত্ব চ্যাটজিপিটির। তবে মানুষের সঙ্গে সংলাপে পারদর্শী চ্যাটবট চ্যাটজিপিটিই প্রথম নয়। এর আগেও অনেক চ্যাটবট তৈরি হয়েছিল। ৬০ বছর আগেও তৈরি হয়েছিল চ্যাটজিপিটির মতোই একটি চ্যাটবট। চ্যাটবটটির নাম ছিল ‘এলিজা’।
এলিজা ছিল প্রথম চ্যাটবটগুলোর মধ্যে একটি। এটি ‘টিউরিং’ টেস্টের প্রাথমিক পরীক্ষার ক্ষেত্রও ছিল। টিউরিং টেস্ট হলো— একটি যন্ত্রের মানুষের মতো বুদ্ধিমান আচরণ করার ক্ষমতার পরীক্ষা। ১৯৬০— এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে জোসেফ ওয়েজেনবাম এই প্রাইমারি ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রক্রিয়াকরণ প্রোগ্রামটি এমআইটি’র কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ল্যাবরেটরিতে তৈরি করেন।
কম্পিউটারের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ কতটা অগভীর— এটা দেখাতে প্রোগ্রামটি তৈরি করা হয়েছিল। তবে ব্যক্তিগত কম্পিউটারে এটি ব্যবহারের সুযোগ পাওয়ার পর থেকে সাধারণ ব্যবহারকারীদের কাছে এটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
প্রোগ্রামটি সাধারণত নিজস্ব কোডে সীমাবদ্ধ থাকলেও অপেশাদার কোডাররা প্রোগ্রামটির মূল কোডে বিভিন্ন পরিবর্তন আনার চেষ্টা করায় এটির বেশ কিছু সংস্করণ তৈরি হয়েছিল। চ্যাটবটটির সবচেয়ে সুপরিচিত সংস্করণটিকে ‘ডাক্তার’ বলা হতো। এটি রজারিয়ান সাইকোথেরাপিস্টের মতো প্রতিক্রিয়া জানাতে পারত। এই পদ্ধতিতে, থেরাপিস্ট কোনো নির্দেশনা দেয় না তবে সহযোগিতামূলক আচরণ করে। থেরাপিস্ট রোগীর প্রশ্নগুলো শুনে পাল্টা প্রশ্ন করে। এ ক্ষেত্রে রোগী নিজেই নিজের সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করেন। রোগীর সমস্যা সমাধানের জন্য থেরাপিস্ট মুখ্য নন।
বর্তমান সময়ের আধুনিক চ্যাটবটগুলোর তুলনায় এলিজাকে খেলনা চ্যাটবটই বলা যেতে পারে। এটি কোনো কঠিন প্রশ্নের জবাব দিতে সক্ষম নয়। তবে এক সময় এই চ্যাটবট বেশ সাড়া ফেলেছিল।