হোম > প্রযুক্তি

আগুনের ঝুঁকি, ১১ লাখ পাওয়ার ব্যাংক ফেরত নিচ্ছে অ্যাংকার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

এই পাওয়ার ব্যাংকগুলো ১ জুন, ২০১৬ থেকে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ পর্যন্ত সময়ে বিক্রি হয়েছে। ছবি: জেডনেট

প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান অ্যাংকার প্রায় ১১ লাখ পাওয়ার ব্যাংক বাজার থেকে প্রত্যাহার করছে। পাওয়ারকোর ১০০০০ মডেলের এই পাওয়ার ব্যাংকগুলোতে আগুন লাগার সম্ভাব্য ঝুঁকি থাকার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

অ্যাংকার জানিয়েছে, পাওয়ারকোর ১০০০০ মডেলের (মডেল নম্বর: এ১২৬৩) পাওয়ার ব্যাংকগুলোতে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির ত্রুটির কারণে অতিরিক্ত গরম হয়ে প্লাস্টিক গলে যেতে পারে, ধোঁয়া উঠতে পারে, এমনকি আগুন ধরে যেতে পারে।

এই পাওয়ার ব্যাংকগুলো ১ জুন, ২০১৬ থেকে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ পর্যন্ত সময়ে বিক্রি হয়। এগুলো মূলত আমাজন, নিউএগ, ইবে এবং অ্যাংকারের নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে বিক্রি হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের কনজ্যুমার প্রোডাক্ট সেফটি কমিশন (ইউএসসিপিএসসি) জানিয়েছে, ১১ লাখ ৫৮ হাজারটি ইউনিট এই রিকলে অন্তর্ভুক্ত। এখন পর্যন্ত ১৯টি আগুন বা বিস্ফোরণের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ২টি ঘটনার ফলে হালকা দগ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে এবং ১১টি ক্ষেত্রে সম্পদের ক্ষতি হয়েছে, যার আর্থিক পরিমাণ ৬০ হাজার ৭০০ ডলার।

শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রীত নির্দিষ্ট সিরিয়াল নম্বরের ইউনিটগুলো ফেরত নেবে অ্যাংকার। পাওয়ার ব্যাংকের নিচের দিকে থাকা ‘প্রোডাক্ট ডিটেইলে’ গিয়ে মডেল নম্বর এ১২৬৩ কি না, তা দেখে নিতে হবে।

যদি আপনার পাওয়ার ব্যাংকের মডেল নম্বর এ১২৬৩ হয়, তাহলে অ্যাংকারের ওয়েবসাইটে গিয়ে একটি ভেরিফিকেশন টুল ব্যবহার করে সিরিয়াল নম্বর যাচাই করতে হবে। যদি সিরিয়াল নম্বর মুছে যায় বা পড়া না যায়, তাহলে অ্যাংকারের কাছে নির্দেশনা চাওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। পাওয়ার ব্যাংকটি রিকলের (ফেরত নেওয়ার তালিকায়) আওতায় পড়ে গেলে তা ব্যবহার করা থেকে সঙ্গে সঙ্গে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

পাওয়ার ব্যাংকের ওপর স্থায়ী মার্কার দিয়ে লিখতে হবে: ‘Recall’ এবং জমাদানের তারিখ। ছবি: জেডনেট

অ্যাংকার ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের দুটি বিকল্প দিচ্ছে—

১.৩০ ডলারের একটি গিফট কার্ড

২. একটি বিনা মূল্যে বিকল্প ইউনিট (রিপ্লেসমেন্ট)

রিকলের জন্য আবেদন করতে আপনাকে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে:

১. আপনার নাম ও যোগাযোগের তথ্য লেখা একটি কাগজ এবং পাওয়ার ব্যাংকটি একসঙ্গে নিয়ে একটি ছবি তুলতে হবে।

২. পাওয়ার ব্যাংকের ওপর স্থায়ী মার্কার দিয়ে লিখতে হবে: ‘Recall’ এবং জমাদানের তারিখ।

৩. আরেকটি ছবি তুলতে হবে যেখানে মডেল নম্বর ও সিরিয়াল নম্বর স্পষ্ট দেখা যায়।

এরপর অ্যাংকারের ওয়েবসাইটে গিয়ে ছবি, তথ্যসহ দাবি দাখিল করতে হবে।

যদি পাওয়ার ব্যাংকটি ফেরত দেওয়ার যোগ্য হয়, তবে তা সাধারণ ময়লায় ফেলা যাবে না। কারণ, এতে আগুন লাগার ঝুঁকি থাকে। এটি লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি গ্রহণ করে এমন একটি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রে জমা দিতে হবে।

তথ্যসূত্র: অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি

প্রযুক্তির দখল কার হাতে

গুগলের নতুন এআই টুল

বৈদ্যুতিক জাহাজ নির্মাণশিল্পে চীনের আধিপত্য

পাসওয়ার্ডের নিরাপত্তা কতটুক: জেনে নিন বিশ্বে সর্বাধিক ব্যবহৃত পাসওয়ার্ড

ভুয়া ওয়েবসাইট চেনার উপায়

আগুনের ঝুঁকিমুক্ত ব্যাটারি বানালেন বিজ্ঞানীরা

উসকানিমূলক কনটেন্ট বন্ধে কঠোর অবস্থানে সরকার

উসকানিমূলক কনটেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মেটাকে বিটিআরসির চিঠি

বিবিএসের জরিপ: ইন্টারনেটের আওতার বাইরে দেশের ৪৪% পরিবার

ডিজিটাল রূপান্তর মানে শুধু অ্যাপ নয়, রাষ্ট্রের ভিত্তি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব