প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের এ সময়ে এসেও পৃথিবীতে এমন অনেক জায়গা আছে, যেখানে অন্ধকার নামার আগেই ঘরে ফিরতে হয় সব কাজ শেষ করে। সভ্যতার এই বিকশিত সময়ে দাঁড়িয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক জরিপ বলছে, বিশ্বের অন্তত ৮৪ কোটি মানুষ বিদ্যুৎ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এমন অবস্থায় কপালে ভাঁজ পড়ছে সবার। কারণ, জাতিসংঘের তথ্যমতে, ২০৩৫ সালের মধ্যে বিদ্যুতের চাহিদা ৭০ শতাংশ বাড়বে। সঙ্গে এ-ও অনুমান করা হচ্ছে, জীবাশ্ম জ্বালানির মজুত আগামী ৫২ বছরে কমে যাবে অনেকখানি। তাহলে উপায়?
কল্পবিজ্ঞানের কোনো গল্পের মতো শোনালেও এ ক্ষেত্রে আশার আলো দেখাচ্ছে একটি ডিভাইস। এটি বিশেষভাবে কলম্বিয়ার ওয়াইয়ু আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ব্যবহারের জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল। তারা দক্ষিণ আমেরিকার উত্তর প্রান্তে বসবাস করে, যেখানে কলম্বিয়া ভেনেজুয়েলার সঙ্গে মিলিত হয়। ডিভাইসটির নকশা ওয়াইয়ু সম্প্রদায়ের মানুষ এবং সমুদ্রের সঙ্গে তাদের সাংস্কৃতিক সম্পর্ক ও ঐতিহ্যকে ধারণ করে। এটি ওয়াইয়ুদের তৈরি একটি প্যাটার্নযুক্ত স্ট্র্যাপ দিয়ে সাজানো হয়েছে।
ডিভাইসটিতে সমুদ্র থেকে আধা লিটার নোনাপানি ভরে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আলো জ্বলে উঠবে। একবার ভরে নিলে সেই পানিতেই আলো জ্বলবে টানা ৪৫ দিন। এই বিশেষ কারণ, কলম্বিয়ার ওয়ান্ডারম্যান থম্পসন এবং নবায়নযোগ্য শক্তি নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করে আসা প্রতিষ্ঠান ই-ডিনাকে ‘ওয়াটার লাইট’ নামের এই বৈপ্লবিক ডিভাইস বা যন্ত্র তৈরিতে উৎসাহ জুগিয়েছে।
সৃজনশীলতার জন্য এ প্রযুক্তি জিতে নেয় ক্যানেস ইনোভেশন পুরস্কার।
সূত্র: ডিজেন, টাইম ম্যাগাজিন