চলতি মাসের শুরুতে চাকরির পরামর্শদাতা প্ল্যাটফর্ম ‘রেজ্যুম বিল্ডার’ ১ হাজার কোম্পানির ওপর একটি জরিপ করে, যেগুলো চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করছে অথবা ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে। জরিপে দেখা যায়, প্রায় অর্ধেক কোম্পানিই চ্যাটবটটি এরই মধ্যে ব্যবহার করা শুরু করেছে। এগুলোর অর্ধেকই জানায়, কোম্পানিগুলোতে নির্দিষ্ট সংখ্যক কর্মী ছাঁটাই করে চ্যাটজিপিটি দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে।
রেজ্যুম বিল্ডারের প্রধান ক্যারিয়ার উপদেষ্টা স্ট্যাসি হ্যালার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘চ্যাটজিপিটি ব্যবহার নিয়ে অনেক আলোচনা সমালোচনা রয়েছে। যেহেতু এই নতুন প্রযুক্তিটি কর্মক্ষেত্রে ঢুকে যাচ্ছে, তাই কর্মীদের অবশ্যই ভাবা উচিত যে, এটি তাদের বর্তমান কাজকে কীভাবে প্রভাবিত করবে। সমীক্ষার ফলাফলগুলিতে দেখা যাচ্ছে যে, নিয়োগকর্তারা চ্যাটজিপিটির মাধ্যমেই কোম্পানির কিছু কাজ করিয়ে নিতে চাচ্ছেন।’
চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারী কোম্পানিগুলো জানিয়েছে, এরই মধ্যে বিভিন্ন কাজে তাঁরা চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করছে। যার মধ্যে ৬৬ শতাংশ কোম্পানি প্রোগ্রামিং কোড লেখার জন্য, ৫৮ শতাংশ কপিরাইটিং এবং কনটেন্ট তৈরির জন্য, ৫৭ শতাংশ গ্রাহক সহায়তার জন্য, এবং ৫২ শতাংশ অন্যান্য নথিপত্র তৈরির জন্য।
এ ছাড়া, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ৭৭ শতাংশ কোম্পানি চাকরির বিবরণ লিখিয়ে নেওয়ায়, ৬৬ শতাংশ কোম্পানি ইন্টারভিউ রিকুইজিশনের খসড়া তৈরি করতে এবং ৬৫ শতাংশ কোম্পানি আবেদনের উত্তর দিতে চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে বলে জানায়।
বেশির ভাগ কোম্পানিই চ্যাটজিপিটির কাজে মুগ্ধ। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রেজ্যুম বিল্ডার লিখেছে, ‘৫৫ শতাংশ কোম্পানি জানিয়েছে, চ্যাটজিপিটির কাজের মান ‘চমৎকার’, যেখানে ৩৪ শতাংশ জানায় চ্যাটজিপিটির কাজের মান ‘খুব ভালো’।