চ্যাটজিপিটি দিয়ে শিক্ষার্থীরা অ্যাসাইনমেন্ট করার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে নিয়মিতই। চলতি বছরে শুরুতে অ্যাসাইনমেন্টে চুরি ঠেকাতে নিউইয়র্কের সরকারি স্কুলে এই চ্যাটবট নিষিদ্ধ করা হয়। এর সমাধান হিসেবে খোদ চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই নিয়ে আসে শনাক্তকারী টুল। টুলটির মাধ্যমে চ্যাটজিপিটির লেখা শনাক্ত করা যায়। তবে এবার নতুন টুল এনেছে জনপ্রিয় চৌর্যবৃত্তি শনাক্তকারী প্ল্যাটফর্ম টার্নিটিন। বলা হচ্ছে ৯৮ শতাংশ পর্যন্ত লেখা শনাক্ত করতে পারবে এটি।
ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এআই'র লেখার বাক্য বিন্যাস বিচার বিশ্লেষণ করে টুলটি টেক্সট শনাক্ত করতে পারবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শিক্ষার্থী ও গবেষকদের করা প্রতারণা শনাক্ত করতে সাহায্য করবে বলে দাবি করেছে টার্নিটিন।
কোম্পানির প্রধান পণ্য কর্মকর্তা আন্নি চেচিটেল্লি বলেছেন, ‘নতুন এই টুলটি অধিক নির্ভুল। শিক্ষার্থীদের এআই দ্বারা লেখা শনাক্তে এটা বেশ ভালো ফল দেবে।’
এর আগে, ওপেনএআই একটি ওয়েব টুল চালু করে। এই টুলটির মাধ্যমে কোনো লেখা মানুষ নাকি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা লিখেছে– তা সহজেই শনাক্ত করা যাবে। ফলে চ্যাটজিপিটি বা অন্যান্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল ব্যবহার করে কেউ কোনো অ্যাসাইনমেন্ট বা গবেষণার কাজ করলে ধরা পড়বে সহজেই।
প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট এনগ্যাজেটের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘এআই টেক্সট ক্লাসিফাইয়ার’ নামের ওয়েব টুলটিতে একটি কমপক্ষে ১ হাজার ক্যারেকটারের লেখা ইনপুট দিতে হবে। এরপর ‘সাবমিট’ বাটনে ক্লিক করলে লেখাটি পর্যালোচনা করে টুলটি জানাবে লেখাটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে লেখা হয়েছে কিনা।
ওপেনএআই জানায়, আপাতত পুরোপুরি সঠিক তথ্য দিচ্ছে না টুলটি। তবে সময়ের সঙ্গে এটির নির্ভুলভাবে ফলাফল দেওয়ার ক্ষমতা বাড়বে। তবে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন লেখা কে একটু সম্পাদনা করেই টুলের ফলাফল বদলে দেওয়া সম্ভব হবে।