চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) অ্যাপলের আয় কমেছে তিন শতাংশ। ফলে আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৪৮০ কোটি ডলারে। গত বৃহস্পতিবার (৪ মে) অ্যাপল এ তথ্য জানিয়েছে।
সিএনএনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আসন্ন মন্দার আশঙ্কায় মানুষ মোবাইল ও কম্পিউটার খাতে ব্যয় কমিয়ে দিয়েছে। এটিকেই অ্যাপলের আয় কমার অন্যতম কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর আগে, অ্যাপলের আয় নিয়ে পূর্বাভাস দিয়েছিল ওয়ালস্ট্রিট। সেই পূর্বাভাসের তুলনায় কিছুটা ভালো অবস্থানে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
এদিকে, অ্যাপলের সিইও টিম কুক বলেন, চ্যালেঞ্জিং সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিবেশেও প্রথম প্রান্তিকে রেকর্ড পরিমাণ আইফোন বিক্রি হয়েছে।
এর আগে, গত অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে রেকর্ড পরিমাণ বিক্রি কমে অ্যাপল পণ্যের। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালের একই সময়ে তুলনায় গত বছরের শেষ তিন মাসে অর্থাৎ অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরে আইফোন বিক্রি কমেছে ৫ শতাংশ। ২০১৯ সালের পর এটিই সবচেয়ে বড় পতন।
অ্যাপল জানিয়েছিল, সারা বিশ্বেই প্রতিষ্ঠানটির বেশির ভাগ পণ্যের বিক্রি কমেছে। এর মধ্যে তাদের জনপ্রিয় পণ্য আইফোনের বিক্রি কমেছে ৪ শতাংশের বেশি। ম্যাক কম্পিউটারের বিক্রি কমেছে ২৯ শতাংশ। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা কমেছে ১৩ শতাংশ। হিসেব করলে দেখা যায়, অ্যাপলের মোট মুনাফা কমেছে ৩০ হাজার কোটি ডলার।
অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টিম কুক বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটি একটি চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।’ এই পরিস্থিতির কারণ হিসেবে কুক চীনের ‘জিরো কোভিড-১৯ নীতি’র ফলে হওয়া সরবরাহ ঘাটতিকে দায়ী করেছেন। অ্যাপলের বেশির ভাগ ফোনই চীনে উৎপাদন করা হয়। এ ছাড়া ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও করোনা মহামারির প্রভাব অ্যাপলের পণ্য বিক্রিতে প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করেন তিনি।