হোম > প্রযুক্তি

ফেসবুকে ‘শহীদ’ শব্দের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে বলল মেটা ওভারসাইট বোর্ড

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকসহ মেটার প্ল্যাটফর্মগুলোতে আরবি শব্দ ‘শহীদ’ ব্যবহারে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে বলেছে বিশেষজ্ঞ দল। মেটার স্বাধীন ওভারসাইট বোর্ড এক বছর পর্যালোচনার পর এই সুপারিশ করে বলে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।

ওভারসাইট বোর্ড বলেছে, ফেসবুকে ‘শহীদ’ শব্দে নিষেধাজ্ঞায় বাড়াবাড়ি হয়েছে। নির্বিচারে শব্দটিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় অকারণে লাখ লাখ ব্যবহারকারীর বক্তব্য চাপা পড়েছে। তাদের পরামর্শ হলো, ‘শহীদ’ শব্দসংবলিত পোস্ট শুধু তখনই মুছে ফেলা উচিত, যখন তাতে সহিংসতার স্পষ্ট লক্ষণ যুক্ত থাকে বা পোস্টগুলো আলাদাভাবে মেটার অন্যান্য নিয়ম ভঙ্গ করে। 

মধ্যপ্রাচ্য সম্পর্কিত মেটার কনটেন্ট পলিসি নিয়ে বছরের পর বছর সমালোচনা হয়। ২০২১ সালের এক সমীক্ষায় মেটার নিজস্ব কমিশন দেখেছে, কোম্পানির পদ্ধতি ফিলিস্তিনি ও অন্যান্য আরবিভাষী ব্যবহারকারীদের ‘মানবাধিকারের ওপর বিরূপ প্রভাব’ ফেলছে। 

২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এই সমালোচনা আরও বেড়েছে। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের অভিযানের পরে গাজায় কয়েক হাজার লোককে হত্যা ও যুদ্ধের বিষয়ে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনকারীরা বিভিন্ন কনটেন্ট পোস্ট করে। এসব কনটেন্ট দমন করার জন্য মেটাকে অভিযুক্ত করেছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো। 

গত মঙ্গলবার প্রতিবেদনে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর সঙ্গে সুর মেলাল মেটার ওভারসাইট বোর্ড। ‘শহীদ’ শব্দটি বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়। মেটার নিয়মগুলো বিভিন্ন অর্থের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণে ব্যর্থ হয়েছে। এর ফলে ক্ষতিকর নয় এমন কনটেন্টও সরিয়ে ফেলা হয়েছে। 

এক বিবৃতিতে ওভারসাইট বোর্ডের সহ-চেয়ারম্যান হেলে থর্নিং-শ্মিড বলেন, ‘সেন্সরশিপ বা নিষেধাজ্ঞা নিরাপত্তার উন্নতি ঘটাবে বলে মেটা ধারণা করছে। কিন্তু বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ থেকে বোঝা যায়, সেন্সরশিপ পুরো জনসংখ্যাকে প্রান্তিকীকরণ করতে পারে, তবে নিরাপত্তার উন্নতি করে না।’ 

মেটা বর্তমানে ‘বিপজ্জনক কোম্পানি ও ব্যক্তি’ তালিকায় যুক্ত করে ‘শহীদ’ শব্দ ব্যবহার করে তৈরি এমন সব পোস্ট মুছে দেয়। এই তালিকার মধ্যে বিশেষভাবে রয়েছে ইসলামপন্থী জঙ্গি গোষ্ঠী, ড্রাগ কার্টেল ও সাদা আধিপত্যবাদী সংগঠনের সদস্য। 

মেটা বলছে, এই শব্দগুলো সেই সব গোষ্ঠীর প্রশংসায় ব্যবহার করা হয়। তাই শব্দটির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। কোম্পানিটির ‘বিপজ্জনক সংগঠনের’ তালিকায় হামাস রয়েছে। 

২০২০ সালে কোম্পানিটির নীতির পুনর্মূল্যায়ন শুরু করার পর মেটা গত বছর এ বিষয়ে বোর্ডের মতামত চেয়েছিল। তবে বিষয়টি নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে কোম্পানিটি। বোর্ড বলছে, অন্য যেকোনো শব্দ বা বাক্যের চেয়ে এই ‘শহীদ’ শব্দটি যুক্ত কনটেন্টই সবচেয়ে বেশি সরানো হয়েছে। 

বিবৃতিতে মেটার মুখপাত্র বলেন, কোম্পানিটি বোর্ডের পরামর্শ পর্যালোচনা করবে এবং ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিক্রিয়া জানাবে।

প্রযুক্তির দখল কার হাতে

গুগলের নতুন এআই টুল

বৈদ্যুতিক জাহাজ নির্মাণশিল্পে চীনের আধিপত্য

পাসওয়ার্ডের নিরাপত্তা কতটুক: জেনে নিন বিশ্বে সর্বাধিক ব্যবহৃত পাসওয়ার্ড

ভুয়া ওয়েবসাইট চেনার উপায়

আগুনের ঝুঁকিমুক্ত ব্যাটারি বানালেন বিজ্ঞানীরা

উসকানিমূলক কনটেন্ট বন্ধে কঠোর অবস্থানে সরকার

উসকানিমূলক কনটেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মেটাকে বিটিআরসির চিঠি

বিবিএসের জরিপ: ইন্টারনেটের আওতার বাইরে দেশের ৪৪% পরিবার

ডিজিটাল রূপান্তর মানে শুধু অ্যাপ নয়, রাষ্ট্রের ভিত্তি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব