হোম > প্রযুক্তি

ফটোশপের প্রতিদ্বন্দ্বী এআই এডিটিং মডেল আনল গুগল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

তবে ছোটখাটো পরিবর্তন আনতে এই মডেল অত্যন্ত কার্যকর। ছবি: গুগল

ডিজিটাল ছবি সম্পাদনার জগতে অ্যাডোবির একচেটিয়া আধিপত্য এখন বড়সড় চ্যালেঞ্জের মুখে। কারণ আনুষ্ঠানিকভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) ইমেজ এডিটিং মডেল চালু করেছে গুগল।

মডেলটির নাম জেমিনি ২.৫ ফ্লাশ। এটি এখন থেকে ব্যবহার করা যাবে গুগলের জেমিনি অ্যাপ ও ওয়েবসাইটে। এই মডেল উদ্ভাবনের পেছনে রয়েছে তাদের নিজস্ব গবেষণা প্রতিষ্ঠান গুগল ডিপমাইন্ড।

এর আগে এটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু ছিল ‘ন্যানো ব্যানানা’ ছদ্মনামে। তবে ব্যবহারকারীরা দ্রুতই বুঝে ফেলেন এর পেছনে গুগল রয়েছে।

এই মডেলটি এলএম অ্যারিনা নামের একটি পাবলিক প্ল্যাটফর্মে পরীক্ষা করা হচ্ছিল, যেখানে বিভিন্ন এআই মডেলের গুণগত মান যাচাই করতে গোপনীয় মতামত সংগ্রহ করা হয়।

গুগলের দাবি, জেমিনি ২.৫ ফ্ল্যাশ মডেলটির বিশেষ দক্ষতা হলো—একটি মানুষ বা প্রাণীর চেহারা বা অবয়ব এক ছবি থেকে আরেক ছবিতে একই রকমভাবে ধরে রাখতে পারা। প্রতিদ্বন্দ্বী অনেক মডেলের চেয়ে এই মডেল বেশি ভালোভাবে কাজটি করতে পারে। ইএলও স্কোরিং সিস্টেম অনুযায়ী, ব্যবহারকারীদের বেশির ভাগই গুগলের এই মডেলকে ওপেনএআই ও অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বী মডেলের চেয়ে এগিয়ে রেখেছেন।

কয়েক দিন ধরে এই মডেল ব্যবহার করে দেখেছে অনলাইন সংবাদমাধ্যম বিজনেস ইনসাইডার। তারা জানায়, সাধারণত এটি প্রতিদ্বন্দ্বী মডেলগুলোর তুলনায় ভালো ফল দিয়েছে। তবে কিছু সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। যেমন—দুটি ভিন্ন ছবি একত্রিত করার সময় মাঝে মাঝে মুখের প্রতিলিপি তৈরি করতে সমস্যা হয়।

এক পরীক্ষায় সাংবাদিকের ছবিতে চশমা যোগ করতে এবং টি-শার্টের রং লাল করতে বলা হয়। ছবি: গুগল জেমিনি

তবে ছোটখাটো পরিবর্তন আনতে এই মডেল অত্যন্ত কার্যকর। এক পরীক্ষায় সাংবাদিকের ছবিতে চশমা যোগ করতে এবং টি-শার্টের রং লাল করতে বলা হয়। একাধিক মডেলের মধ্যে কেবল গুগলের মডেলটিই টি-শার্টের স্ট্রাইপ ডিজাইন ঠিক রেখে কাজটি সম্পন্ন করতে পেরেছে।

এই ক্ষমতা ফটোশপসহ অ্যাডোবির অন্যান্য ছবি সম্পাদনা সফটওয়্যারের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। গুগল জানিয়েছে, তারা জেমিনি ২.৫ ফ্ল্যাশ মডেলটি সাধারণ ব্যবহারকারী এবং পেশাদারদের উভয়ের জন্যই তৈরি করেছে। এই মডেল জেমিনির ফ্রি ও পেইড উভয় ব্যবহারকারীই ব্যবহার করতে পারবেন।

অ্যাডোবিও একই দিনে ঘোষণা দিয়েছে, তারা এই গুগলের নতুন মডেলটি তাদের নিজস্ব অ্যাডোবি ফায়ারফ্লাই ও অ্যাডোবি এক্সপ্রেসে করছে।

তবে প্রশ্ন উঠেছে—যখন গুগলের অ্যাপেই সরাসরি এটি ব্যবহার করা যাচ্ছে, তখন কেউ কেন অ্যাডোবির মাধ্যমে এটি ব্যবহার করবেন?

এ প্রসঙ্গে অ্যাডোবি জানায়, তাদের মূল সুবিধা হলো, ব্যবহারকারীরা এক প্ল্যাটফর্মেই সব ধরনের মডেল ব্যবহার করতে পারবেন, আলাদা করে বিভিন্ন অ্যাপে যেতে হবে না। পাশাপাশি, অ্যাডোবির অ্যাপগুলোর মধ্যে ফাইল স্থানান্তর সহজ, যা নির্মাতাদের জন্য বড় সুবিধা।

তবে এসব ব্যাখ্যা বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করতে পারেনি। গত এক বছরে অ্যাডোবির শেয়ারমূল্য কমেছে ৩৫ শতাংশ, যার অন্যতম কারণ এআই প্রযুক্তির প্রভাব নিয়ে বিশ্লেষকদের উদ্বেগ।

যুক্তরাষ্ট্রে মাকে হত্যার পর ছেলের আত্মহত্যা, চ্যাটজিপিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ পরিবারের

মিসড কল মেসেজ ও ছবি থেকে অ্যানিমেশনসহ যেসব ফিচার আনল হোয়াটসঅ্যাপ

অস্ট্রেলিয়ায় ২ লাখ অ্যাকাউন্ট বন্ধ: ‘এটা কাজ করছে না ব্রো’— প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ জেন-জি’দের

সকালে ঘুম ভেঙে অস্ট্রেলিয়ার লাখো শিশু দেখবে তাদের ‘আইডি’ উধাও

ভারতে ১৭.৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে মাইক্রোসফট

ব্যবহৃত মোবাইল ফোন আমদানিতে বিটিআরসির ‘না’, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি মোবাইল ব্যবসায়ীদের

৩০ মিনিটের বেশি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার শিশুদের মনোযোগের ক্ষমতা কমায়, বলছে গবেষণা

ট্রাম্পের নতি স্বীকার, এনভিডিয়ার শক্তিশালী এআই চিপ চীনে বিক্রির অনুমতি

ভারতে স্টারলিংকের মূল্য ফাঁস নিয়ে বিভ্রান্তি, বাংলাদেশের তুলনায় কম নাকি বেশি

হোলন আইকিউ ২০২৫: শীর্ষস্থানীয় ১০০ অ্যাডটেকে ৫ বাংলাদেশি স্টার্টআপ