সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোর কল্যাণে অনলাইন মার্কেটিং এখন যেমন দ্রুত বিস্তার লাভ করছে, ঠিক তেমনি এই সাইটগুলোর কদর দিন দিন বেড়েই চলেছে। এসব সাইটে বা অ্যাপে অনেকে এখন দীর্ঘ সময় পার করে। অনেক প্রতিষ্ঠান বিভিন্নভাবে এই প্ল্যাটফর্মগুলো নিজের ব্যবসার প্রচারণা ও পণ্য বা সেবা বিক্রির কাজে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করছে।
ফলে এগুলো এখন একশ্রেণির মানুষের আয়ের উৎস হয়ে উঠেছে। ফেসবুক বা ইউটিউব থেকে এখন অনেকে প্রচুর আয় করছেন। এখন যে কেউ চাইলে টুইটার থেকেও আয় করতে পারেন।
টুইট, ভিডিও বা স্পেসের মাধ্যমে এবং কনটেন্ট তৈরি করে তা মনিটাইজ করার মাধ্যমে বেশ আয় করার সুযোগ রয়েছে টুইটারে।
লিংক শেয়ার করে টুইটার থেকে আয়
কোনো ওয়েবসাইটের কোনো কনটেন্টের লিংক শর্ট করে টুইটারে শেয়ার করলে যদি কেউ সেই শর্ট লিংক ব্যবহার করে এই ওয়েবসাইট ভিজিট করে, তাহলে সেই লিংক শর্ট করা ওয়েবসাইট থেকে টাকা পাওয়া যায়।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ও সিপিএ করে আয়
ফলোয়ার অনেক বেশি হলে অ্যামাজন অথবা বিভিন্ন সিপিএ ওয়েবসাইটের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ও সিপিএর প্রোডাক্ট প্রমোশন করে টুইটার থেকে আয় করতে পারবেন।
টুইট-রিটুইট করে আয়
ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যদি কন্ট্রাক্ট থাকে, সে ক্ষেত্রে টুইট-রিটুইট করে আয় করা যায়। যদি কারও অনেক বেশি ফলোয়ার থাকে, তাহলে টুইটারে যে ধরনের ফলোয়ার বেশি, সেই ধরনের ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের টুইটগুলো রিটুইট করে রয়েছে আয়ের সুযোগ।
গ্রাফিকসের কাজ করে আয়
টুইটারে গ্রাফিকসের কাজ করে ভালো আয় করার সুযোগ আছে। একজন প্রফেশনাল মানের গ্রাফিকস ডিজাইনার হলে আপনার জন্য অনেক ভালো সুযোগ অপেক্ষা করছে টুইটারে। এখানে অনেকেই তাদের টুইটার প্রোফাইলের ব্যাকগ্রাউন্ড ইমেজ তৈরি অথবা এডিট করে নেয়। আপনি এ কাজ করে ভালো পরিমাণে টাকা আয় করতে পারবেন।
সুপার ফলো অপশনের মাধ্যমে আয়
বাংলাদেশিদের জন্য টুইটার সুপার ফলো থেকে আয় করার সুযোগ নেই। এর জন্য টুইটার প্রোফাইলে কমপক্ষে ১০ হাজার ফলোয়ার থাকতে হবে এবং বসবাস করতে হবে আমেরিকায়। এই দুটি শর্ত পূরণ করার পরে তৃতীয় শর্ত হলো টুইটার প্রোফাইলে ৩০ দিনে কমপক্ষে ২৫টি টুইট পাবলিশ করতে হবে। তবে টুইটার আইডিতে সুপার ফলো অপশন চালু থাকলে ফলো করার জন্য প্রত্যেক ফলোয়ারকে টাকা গুনতে হয়।
সূত্র: স্লল বিজনেস ট্রেন্ড