পরীক্ষামূলকভাবে মানব মস্তিষ্কে চিপ বসানোর অনুমতি পেয়েছে ইলন মাস্কের নিউরো প্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘নিউরালিংক’। গত বৃহস্পতিবার (২৫ মে) মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) এই অনুমোদন দেয়। তবে এখন পর্যন্ত পরীক্ষার জন্য কাউকে নির্বাচন করেনি প্রতিষ্ঠানটি।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্রেইন চিপ ইন্টারফেসের মাধ্যমে পক্ষাঘাতগ্রস্ত ও শারীরিক কারণে যোগাযোগের প্রতিবন্ধকতার শিকার মানুষদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে যুগান্তকারী উদ্যোগ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রাণীর ওপর এই প্রযুক্তির কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখেছে নিউরালিংক।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এই চিপের মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা অনেকটাই স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন। অনেক আগে থেকেই এই চিপ নিয়ে কাজ করছিল ‘নিউরালিংক’। এর আগে শূকর ও বানরের মস্তিষ্কে নিউরালিংক ডিভাইস সফলভাবে স্থাপন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রক্রিয়াটিকে সম্পূর্ণ নিরাপদ বলেও দাবি করেছে নিউরালিংক।
এক টুইটে নিউরালিংক জানায়, ‘আমরা অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, ডিভাইসটি মানব শরীরে পরীক্ষার জন্য এফডিএ অনুমতি দিয়েছে।’
নিউরালিংকের ডিভাইসটি মূলত কয়েন আকৃতির। রোবোটিক সার্জারির সাহায্যে মস্তিষ্কের খুলি কেটে এটি প্রতিস্থাপন করা হয় এবং এর তারগুলো মস্তিষ্কের ভেতরে প্রবেশ করানো হয়। ইলন মাস্ক বলেন, ‘এটি আপনার চুলের নিচে এমনভাবে স্থাপিত হবে আপনি বুঝতেও পারবেন না।’
এর আগে মাস্ক বলেছিলেন, ‘প্রাথমিক পর্যায়ে দুজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীর দৃষ্টিশক্তি ফেরানোর চেষ্টা করবে নিউরালিংক। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে জন্মান্ধের দৃষ্টিশক্তি ফেরানোরও আশা করছেন তিনি। বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবেরের আশা, একই প্রযুক্তির মাধ্যমে পারকিনসনস, ডিমেনশিয়া ও আলঝেইমারের মতো রোগের নিরাময় সম্ভব হবে।’