হোম > প্রযুক্তি

হোয়াটসঅ্যাপে এআই নিয়ে আপত্তি, মেটার বিরুদ্ধে তদন্তে ইতালি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

ব্যবহারকারীদের সম্মতি ছাড়া হোয়াটসঅ্যাপে মেটা এআই সহকারী যুক্ত করায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিযোগিতা নীতিমালা লঙ্ঘন হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। ছবি: ইউসি টুডে

প্রযুক্তি জায়ান্ট মেটার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে ইতালির অ্যান্টি ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ।। হোয়াটসঅ্যাপে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট ইনস্টল করে প্রতিযোগিতায় প্রভাব ফেলছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে এই তদন্তে।

বুধবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, ব্যবহারকারীদের সম্মতি ছাড়া হোয়াটসঅ্যাপে মেটা এআই সহকারী যুক্ত করায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিযোগিতা নীতিমালা লঙ্ঘন হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এই পদক্ষেপ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

মেটা জানিয়েছে, তারা রোমভিত্তিক নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা করছে এবং তাদের এআই সেবা ব্যবহারকারীদের উপকারে আসছে। মেটার এক মুখপাত্র ইমেইলে বলেন, ‘হোয়াটসঅ্যাপে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ফিচার বিনামূল্য ব্যবহারের সুযোগ দেওয়ার ফলে কোটি কোটি ইতালীয় এমন একটি প্ল্যাটফর্মে এআই ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছেন, যা তারা ইতিমধ্যেই চেনেন, বিশ্বাস করেন এবং ব্যবহার করতে জানেন।’

ইতালির অ্যান্ট্রিট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ এজিসিএম জানিয়েছে, তারা ইউরোপীয় কমিশনের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। সংস্থাটি আরও জানায়, ২০২৫ সালের মার্চ থেকে হোয়াটসঅ্যাপের ইন্টারফেসে মেটা এআই যুক্ত করা হয়েছে এবং এটি অ্যাপটির সার্চ বারে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

ইতালির নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির বলেছে, মেটা যখন তাদের এআই সহকারীকে হোয়াটসঅ্যাপের সঙ্গে জুড়ে দিয়েছে, তখন তারা এমন এক বাজারে প্রবেশ করেছে যেখানে ব্যবহারকারীরা স্বেচ্ছায় নয়, বরং বাধ্য হয়ে দুটি ভিন্ন পরিষেবা একসঙ্গে ব্যবহার করছে। এতে প্রতিযোগী অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, কারণ মেটা এখানে গুণগত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নয়, বরং নিজেদের শক্ত অবস্থান ব্যবহার করে এগিয়ে যাচ্ছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিযোগিতা নীতিমালা লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে, কোনো কোম্পানি যদি তার আধিপত্যপূর্ণ অবস্থান অপব্যবহার করে, তবে তাদের বিশ্বব্যাপী মোট আয়ের ১০ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিযোগিতা নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো প্রতিষ্ঠান যদি বাজারে নিজের প্রভাবশালী অবস্থান অপব্যবহার করে, তাহলে তা নিয়ম লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হয়। এ ধরনের লঙ্ঘনের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিশ্বব্যাপী মোট বার্ষিক আয়ের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা করা যেতে পারে।

তথ্যসূত্র: রয়টার্স

প্রযুক্তির দখল কার হাতে

গুগলের নতুন এআই টুল

বৈদ্যুতিক জাহাজ নির্মাণশিল্পে চীনের আধিপত্য

পাসওয়ার্ডের নিরাপত্তা কতটুক: জেনে নিন বিশ্বে সর্বাধিক ব্যবহৃত পাসওয়ার্ড

ভুয়া ওয়েবসাইট চেনার উপায়

আগুনের ঝুঁকিমুক্ত ব্যাটারি বানালেন বিজ্ঞানীরা

উসকানিমূলক কনটেন্ট বন্ধে কঠোর অবস্থানে সরকার

উসকানিমূলক কনটেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মেটাকে বিটিআরসির চিঠি

বিবিএসের জরিপ: ইন্টারনেটের আওতার বাইরে দেশের ৪৪% পরিবার

ডিজিটাল রূপান্তর মানে শুধু অ্যাপ নয়, রাষ্ট্রের ভিত্তি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব