এবারের আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের অবস্থা খুব একটা সন্তোষজনক নয়। তার ওপর ফ্র্যাঞ্চাইজিটির বিরুদ্ধে এসেছে ফিক্সিংয়ের গুরুতর অভিযোগ। তবে ম্যাচ পাতানোর এমন অভিযোগকে ভিত্তিহীন দাবি করছে এই ফ্র্যাঞ্চাইজি।
রাজস্থান ক্রিকেট সংস্থার (আরসিএ) অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক জয়দীপ বিহানি রাজস্থানের বিরুদ্ধে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ এনেছেন। অভিযোগটা আনেন জয়পুরের সাওয়াই মানসিংহ স্টেডিয়ামে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে রাজস্থান রয়্যালসের ২ রানে হারের ভিত্তিতে। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে নীরবতা ভাঙল রাজস্থান। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি আজ দুপুরে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখান থেকে জানা গেছে, দীপ রায় নামে ফ্র্যাঞ্চাইজির এক সিনিয়র কর্মকর্তা বিহানির বক্তব্যকে ‘মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও প্রমাণ অযোগ্য’ বলেছেন।
এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে আরও জানা গেছে, বিহানির বিরুদ্ধে শক্ত পদক্ষেপ নিতে মুখ্যমন্ত্রী, ক্রীড়ামন্ত্রী ও ক্রীড়া সচিবের কাছে রাজস্থান রয়্যালস ম্যানেজমেন্ট আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেছে। এক বিবৃতিতে রাজস্থান ম্যানেজমেন্ট বলেছে, ‘অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়কের করা অভিযোগগুলো আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। জনসমক্ষে এমন বক্তব্য শুধু বিভ্রান্তই করে না। এমনকি রাজস্থান রয়্যালসের গ্রহণযোগ্যতা ও খ্যাতিরও ক্ষতিসাধন করে। এতে করে রয়্যাল মাল্টি স্পোর্টস প্রাইভেট লিমিটেড (আরএমপিএল), রাজস্থান ক্রীড়া সংস্থা ও বিসিসিআইয়েরও খ্যাতি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ক্রিকেটের গ্রহণযোগ্যতাও ধূলিসাৎ করে দেয় এসব অভিযোগ।’
রাজস্থান রয়্যালসের দাবি, ১৮ বছর ধরে রাজ্য সংস্থা ও সরকারের সঙ্গে তাদের জুটিটা দারুণভাবে কাজ করছে। বিসিসিআইয়ের নীতিমালা মেনেই কাজ হচ্ছে বলে জোর দাবি ফ্র্যাঞ্চাইজিটির। এর আগে গত রাতে নিউজ১৮ রাজস্থান নামে এক চ্যানেলে কথা বলার সময় রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ আনেন বিহানি। দলের পারফরম্যান্সের পাশাপাশি ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তৃপক্ষ, রাজস্থান ক্রীড়া পরিষদ, বিসিসিআইকেও কাঠগড়ায় তোলেন তিনি। রাজস্থান রয়্যালস, রাজস্থান ক্রীড়া পরিষদ, বিসিসিআইয়ের যোগসাজশেই আরসিএ’র অ্যাডহক কমিটিকে আইপিএল সংক্রান্ত কাজ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে বিহানির অভিযোগ। রাজস্থান রাজ্যের শ্রী গঙ্গানগর এলাকার এমএলএ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
বিহানির অভিযোগের আগেও ফিক্সিং কেলেঙ্কারির দাগ লেগেছিল রাজস্থান রয়্যালসের গায়ে। ফিক্সিংয়ের অভিযোগ থাকায় ২০১৬, ২০১৭-এই দুই আইপিএলে রাজস্থান নিষিদ্ধ ছিল। একই কারণে এই দুই আইপিএলেও চেন্নাই সুপার কিংস নিষিদ্ধ ছিল।
আরও পড়ুন: