টস জয়ের হাসিটা বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের অধিনায়ক শাহাদাত হোসেন দীপন হেসেছিলেন বটে, কিন্তু তার সে হাসি উবে যেতে সময় লাগেনি। দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দলের বিপক্ষে চার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচের প্রথম দিন ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই যাওয়া-আসার মিছিল স্বাগতিক দলের। একপর্যায়ে ৫৮ রান তুলতেই বাংলাদেশ হারিয়ে ফেলে ৫ উইকেট!
সবুজাভ উইকেটে সকালের ময়েশ্চারকে কাজে লাগিয়ে আন্দিলে মোগাকানে বিধ্বংসী হয়ে উঠলে এমনই দুঃস্বপ্নের শুরু হয় বাংলাদেশের। তবে দলের এই বিপর্যয়েও একপ্রান্তে অবিচল থেকেছেন ওপেনার ইফতেখার হোসেন ইফতি। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে মইন খানকে নিয়ে শুরুর এই বিপর্যয়ের পর প্রতিরোধ গড়ে তোলেন ইফতি, পরে দলে টেনে তোলার কাজটিও করেন তারা। ১৭৯ রানের জুটি গড়েন তাঁরা।
দুজনেই তুলে নেন ফিফটি। পরে ফিফটিকে সেঞ্চুরির রূপ দেন ইফতি। আউট হওয়ার আগে ২৯১ বল খেলে করেন ১০৯ রান। ১৪টি চারে সাজানো তাঁর ইনিংসটিই মান বাঁচিয়েছে দলের। সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়েও অবশ্য রানের তিন অঙ্কের দেখা পাননি মইন। ৯১ রানে থামতে হয় তাঁকে। অনেক বাইরের বলে চেজ করে খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি।
শেষ বিকেলে ইফতির বিদায়ের পর উইকেটে এসে আর ১.৪ ওভার খেলার সুযোগ পান রাকিবুল ও রিপন জুটি। দিনের খেলা শেষে অবিচ্ছিন্ন থাকলে ৭ উইকেটে ২৪২ রান নিয়ে দিন শেষ করে বাংলাদেশ।