নেপালের লেগস্পিনার যুবরাজ খাত্রিকে উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে মারলেন রিজান হোসেন। বলটা যে নিশ্চিত ছক্কা, সেটা না বললেও চলছে। কিন্তু বলটা যে কোথায় গিয়ে আটকেছে, সেটা ক্যামেরাতে ধরা পড়েনি। রিজানের এই ছক্কাতেই সেমিফাইনালের আরও কাছে এখন বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের পর নেপালকে হারিয়ে টানা দুই জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে আজিজুল হাকিম তামিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেটের জয়ে এবারের অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ শুরু করলেও বাংলাদেশ ম্যাচটা জিতেছে ৭ বল হাতে রেখে। তামিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আজ নেপালকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছে। দুবাইয়ের ‘দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে’ নেপালের বিপক্ষে ১৫১ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের বিশাল জয়ে তামিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের নেট রানরেটটা হয়েছে +১.৫৫৮। ৪ পয়েন্ট ও +১.৫৫৮ নেট রানরেট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠলেও বাংলাদেশকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমিতে। আইসিসি একাডেমিতে যদি শ্রীলঙ্কার কাছে আফগানিস্তান হেরে যায়, তাহলে বিনা সমীকরণে সেমিতে উঠবে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা।
জয়ের লক্ষ্যে নেমে আক্রমণাত্মক শুরু করতে গিয়ে কিছুটা বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। ৩.২ ওভারে ২ উইকেটে ২৯ রানে পরিণত হয় তামিমের দল। রিফাত বেগ (৫) ও তামিম (১) দুজনেই এক অঙ্কের ঘরে আউট হয়েছেন। তামিম রান আউট হয়েছেন। রিফাতের উইকেট নিয়েছেন অভিষেক তিওয়ারি। দ্রুত ২ উইকেট হারালেও ভড়কে যায়নি বাংলাদেশ। তৃতীয় উইকেটে ১১৫ বলে ৯২ রানের জুটি গড়েন আবরার ও কালাম সিদ্দিকী। ২৩তম ওভারের তৃতীয় বলে কালামকে (৩৩) ফেরালেন খাত্রি।
কালামের বিদায়ের পর বাকি ১০ রান করতে কেবল ১৪ বল লেগেছে। ১৪ বলে ১৪ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়েন কালাম-আবরার। ২৫তম ওভারের পঞ্চম বলে নেপালের লেগস্পিনার খাত্রিকে ছক্কা মেরে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটের বিশাল জয় এনে দিয়েছেন রিজান। ম্যাচসেরা হয়েছেন আবরার। ৬৮ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৭০ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।
দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম। আগে ব্যাটিং পাওয়া নেপাল ৩১.১ ওভারে ১৩০ রানে গুটিয়ে গেছে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন আট নম্বরে নামা অভিষেক তিওয়ারি। ৪৩ বলের ইনিংসে মেরেছেন ২ ছক্কা। বাংলাদেশের মোহাম্মদ সবুজ ৭ ওভারে ২৭ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। অধিনায়ক তামিমসহ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন সাদ ও শাহরিয়ার আহমেদ। শাহরিয়া আল আমিন পেয়েছেন এক উইকেট।