ডেওয়াল্ড ব্রেভিস একটু থামলেন। ভেবেছিলেন তৃতীয় আম্পায়ার কে এন অনন্তপদ্মনবন হয়তো সিদ্ধান্ত বদলে মাঠে ফেরাবেন। কিন্তু কিসের কী! শেষ পর্যন্ত জসপ্রীত বুমরার পক্ষেই রায় দিলেন তিনি। তাঁর এই প্রশ্নবিদ্ধ সিদ্ধান্ত নিয়ে হয়েছে সমালোচনা।
কটকের বরাবাতি স্টেডিয়ামে ভারতের দেওয়া ১৭৬ রানের লক্ষ্যে নেমে ব্যাটিং করছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে বুমরার অফস্টাম্পের বাইরের বল লেগ সাইডে মারতে যান ব্রেভিস। টপ এজ হওয়া বল কাভারে সহজেই লুফে নেন ভারতীয় অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। তাতেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে শততম উইকেট পেয়ে গেলেন বুমরা। বিতর্কের শুরু এখানেই। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, বুমরার সামনের পা উইকেটের বাইরে ছিল। যাচাই-বাচাই করে তৃতীয় আম্পায়ার কে এন অনন্তপদ্মনবন আউটই দিলেন। বুমরার ডেলিভারিটা বৈধ ছিল কি না, রিপ্লে দেখে দুই ধারাভাষ্যকার সুনীল গাভাস্কার ও পমি এমবাঙ্গোয়া সন্দেহ প্রকাশ করেন। হতবাক এমবাঙ্গোয়া বলেন, ‘দাগের পেছনে কিছুই দেখতে পাচ্ছি না। তার মানে সে (বুমরা) এটার বাইরে।’
বিভিন্ন কোণ থেকে ক্যামেরার মাধ্যমে অনেকক্ষণ যাচাই-বাচাই করার পরও বোঝার উপায় নেই যে বুমরার পা আদৌ উইকেটের ভেতরে ছিল কি ছিল না গাভাস্কার-এমবাঙ্গোয়াদের কথা অনুযায়ী তৃতীয় আম্পায়ার কে এন অনন্তপদ্মনবন বুমরার বলটাকে ফ্রন্ট ফুট নো বল দিতে পারতেন। তবে আরেক ধারাভাষ্যকার দীপ দাসগুপ্ত বলছেন ভিন্ন কথা। তাঁর মতে বেনিফিট অব ডাউট বোলারদের পক্ষেই সাধারণত যায়। যে ওভারে ব্রেভিসের উইকেট বুমরা তুলে নিয়েছেন, একই ওভারে বুমরা পেয়েছেন আরও এক উইকেট। ১১তম ওভারের পঞ্চম বলে কেশব মহারাজকে ফিরিয়ে ভারতের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে ১০১তম উইকেট তুলে নিয়েছেন।
টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া ভারত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭৫ রান করেছে। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১২.৩ ওভারে ৭৪ রানে গুটিয়ে যায় প্রোটিয়ারা। ১০১ রানের জয়ে অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ম্যাচসেরা হয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া। ২৮ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৫৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন। বোলিংয়ে ২ ওভারে ১৬ রানে নিয়েছেন ১ উইকেট। আগামীকাল নিউ চন্ডীগড়ে হবে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি। ১৪ ডিসেম্বর ধর্মশালা, ১৭ ডিসেম্বর লক্ষ্ণৌ ও ১৯ ডিসেম্বর আহমেদাবাদে হবে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম টি-টোয়েন্টি।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০১ উইকেট পাওয়া বুমরা ঢুকে গেলেন এলিট ক্লাব। টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি—তিন সংস্করণেই ১০০ বা তার বেশি উইকেট নেওয়া পঞ্চম বোলার এখন তিনি। এর আগে এই এলিট ক্লাবে নাম লিখিয়েছেন সাকিব আল হাসান, লাসিথ মালিঙ্গা, টিম সাউদি ও শাহিন শাহ আফ্রিদি।