বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) হায়দার আলীর খেলা নিয়ে শঙ্কা ছিল। সে শঙ্কা দূর হলো অবশেষে। এই ব্যাটারের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। ২০২৬ বিপিএল খেলতে আর কোনো বাধা রইল না হায়দারের।
বিপিএল খেলার জন্য ৯ ক্রিকেটারকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি) দিয়েছে পিসিবি। সে তালিকায় আছে হায়দারের নাম। ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ক্রিকেটের বাইরে ছিলেন তিনি। নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ার পরও মাঠে নামতে পারছিলেন না। এবার বিপিএল দিয়ে বাইশ গজে ফেরার অপেক্ষা শেষ হচ্ছে তাঁর।
পাকিস্তানের হয়ে এখন পর্যন্ত ৩৫টি টি-টোয়েন্টি এবং ৩টি ওয়ানডেত খেলেছেন হায়দার। পাকিস্তান শাহিনসের হয়ে ইংল্যান্ড সফরে গত সেপ্টেম্বরে ২৫ বছর বয়সী ব্যাটারের ওপর ধর্ষণের অভিযোগ আনেন যুক্তরাজ্যে জন্মগ্রহণকারী একজন পাকিস্তানি মহিলা।
তদন্তের ফলাফল না আসা পর্যন্ত হায়দারকে ক্রিকেট থেকে সাময়িক নিষিদ্ধ করেছিল পিসিবি। আদালতে মামলা পাঠানো বা অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করার মতো পর্যাপ্ত প্রমাণ না পাওয়ায় গত ২৫ সেপ্টেম্বর মামলাটি বন্ধ করে দেয় ম্যানচেস্টার পুলিশ।
বিপিএলের জন্য এনওসি পাওয়া বাকি ক্রিকেটাররা হলেন মোহাম্মদ নাওয়াজ, আবরার আহমেদ, সাহাবজাদা ফারহান, ফাহিম আশরাফ, হুসেইন তালাত, সালমান এরশাদ, খাজা নাফে ও এহসানউল্লাহ। পিসিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, এদের সবাইকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত বিপিএল খেলার অনুমতি দিয়েছে পিসিবি। সেদিন টুর্নামেন্টির ফাইনাল মাঠে গড়াবে। অর্থাৎ পুরো বিপিএল খেলতে পারবেন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা।
নয়জনকে এনওসি দিলেও উমর আকমলের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে পিসিবি। এর কারণ জানতে চেয়ে ইতোমধ্যে পাকিস্তান ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে আবেদন করেছেন এই ব্যাটার। তিনি বলেন, ‘কেন আমাকে এনওসি দেওয়া হয়নি সেটা জানি না। আমি কিছু চুক্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছি। বোর্ড আমার আবেদনগুলো অনুমোদন করছে না।’