৫৩১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই তাসের ঘরে পরিণত হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং লাইন। চতুর্থ ইনিংসের শুরুতেই তাই সফরকারীদের হার দেখে ফেলেছিল সবাই। কিন্তু ক্রিকেট যে গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা, নিউজিল্যান্ডকে বোধহয় সেটাই বোঝালেন জাস্টিন গ্রিভস ও শাই হোপ। এই দুজনের ব্যাটিং বীরত্বে ক্রাইস্টচার্চের হেগলি ওভালে হারতে বসা টেস্ট ড্র করল ক্যারিবীয়রা।
প্রথম ইনিংসের ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণেই ম্যাচে ব্যাকফুটে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নিউজিল্যান্ডের করা ২৩১ রানের জবাবে ১৬৭ রানে গুটিয়ে যায় অতিথিরা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে স্বাগতিকেদের দাপট ছিল আরও বেশি। ৪৬৬ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে তারা। রানের পাহাড়ে চাপা পড়ে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৭৪ রানেই জন ক্যাম্পবেল, তেজনারায়ণ চন্দরপল, আলিক আথানেজ ও রস্টন চেজের উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
চতুর্থ উইকেটে তাদের পথ দেখান গ্রিভস-হোপ জুটি। তাঁদের ব্যাটে ম্যাচে হার এড়ানোর স্বপ্ন কিছুটা হলেও বেঁচে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। এ জন্য শেষ দিনেও নিউজিল্যান্ডের বোলারদের সামনে কঠিন পরীক্ষা দিতে হতো। ঠিক সেটাই করে দেখাল এই জুটি। দলকে হারের মুখ থেকে বাঁচানোর পথে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন গ্রিভস। ২০২ রানে অপরাজিত ছিলেন এই অলরাউন্ডার। ১৯ চারে সাজানো তাঁর ৩৮৮ বলের ইনিংস।
২১২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। হোপ ১১৬ ও গ্রিভস ৫৫ রান নিয়ে শেষ দিনে ব্যাট করতে নামেন। হাতে থাকা ৬ উইকেট নিয়ে জয়ের জন্য এদিন আরও ৩১৯ রান করতে হতো ক্যারিবীয়দের। এই সমীকরণ মেলাতে না পারলেও অলআউট হয়নি তারা। আগের দিনের থেকে ২৪ রান যোগ করে আউট হন হোপ। কিন্তু এক প্রান্ত আগলে রেখে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যান গ্রিভস। তাঁর বীরত্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পাওয়া এই ড্রই জয় সমতুল্য।
হোপ আউট হওয়ার কিছুক্ষণ পরই ৪ রান করে ফেরেন টেভিন ইমলাচ। এরপর কোনো বিপদ হতে দেননি গ্রিভস ও কেমার রোচ। সপ্তম উইকেটে নিরবচ্ছিন্ন ১৮০ রান তোলেন তাঁরা। ফিফটি করে ৫৮ রানে অপরাজিত ছিলেন রোচ। ৬ উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৫৭ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ১২২ রানে ৩ উইকেট নেন জ্যাকব ডাফি।