সবশেষ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তদন্ত শেষে আজ ৯০০ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে ওই কমিটি। তবে বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে নারাজ দেশের ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা।
ওই তদন্ত কমিটিতে ছিলেন আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার, সাবেক ক্রিকেটার শাকিল কাসেম ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবী ড. খালেদ এইচ চৌধুরী। তদন্ত প্রতিবেদনের পাশাপাশি বিপিএলকে দুর্নীতিমুক্ত করতে বেশকিছু পরামর্শও দিয়েছেন তাঁরা। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি জানিয়ছে, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন নিয়ে কোনো মন্তব্য করবে না তারা।
কোনো মন্তব্য না করলেও তদন্ত কমিটির দেওয়া পরামর্শগুলো সামনে রেখে দরকার হলে আরও তদন্ত করতে চায় বিসিবি। এজন্য আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী আইনের ধারা মেনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাহায্য নিতেও প্রস্তুত সংস্থাটি।
গত আগস্টে বিসিবির দুর্নীতিবিরোধী বিভাগে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগের সাবেক কর্মকর্তা অ্যালেক্স মার্শালকে। তিনি বিপিএলের স্বাধীন তদন্ত কমিটির দেওয়া প্রতিবেদন নিয়ে কাজ করবেন।
একাধিক সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, বিপিএলের সবশেষ আসরের ৩৬টি ঘটনাকে সন্দেহজনক হিসেবে চিহ্নিত করে তদন্ত প্রক্রিয়া চালিয়েছে ওই কমিটি। তদন্ত প্রতিবেদনে ১২ জন ক্রিকেটারের পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকজন ব্যক্তির নাম আছে। তাঁদের নাম প্রকাশ করেনি বিসিবি। তাদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা সে বিষয়য়েও কিছু জানানো হয়নি। সব মিলিয়ে তাই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক থেকেই গেল।