সিডনি থান্ডারের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিগ ব্যাশে অভিষেক হলো রিশাদ হোসেনের। আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে এই লেগস্পিনারকে রেখেই একাদশ সাজায় হোবার্ট হারিকেন্স। অস্ট্রেলিয়ার ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে অভিষেকে উইকেট না পেলেও মিতব্যয়ী বোলিংয়ের নজর কেড়েছেন রিশাদ।
রিশাদ খেলছেন; স্বাভাবিকভাবেই হোবার্ট এবং সিডনির ম্যাচের দিকে বাড়তি নজর ছিল এদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের। সহজাত বোলিং করে প্রথম ম্যাচে ভক্তদের প্রত্যাশা মিটিয়েছেন নীলাফামারির এই ক্রিকেটার। প্রথম ওভার থেকেই দারুণ লাইন-লেন্থে বোলিং করেছেন। বলে টার্নও ছিল বেশ। দারুণ সব ডেলভারিতে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের বোকা বানিয়েছেন এই স্পিনার। বিগ ব্যাশ অভিষেকে সব মিলিয়ে ৩ ওভার বোলিং করেছেন তিনি। দিয়েছেন মাত্র ১৮ রান। তবে উইকেট পাননি।
ইনিংসের পঞ্চম ওভারে রিশাদের হাতে প্রথমবার বল তুলে দেন হোবার্টের অধিনায়ক নাথান এলিস। সে ওভারে খরচ করেন মাত্র ৬ রান। সপ্তম ওভারে বোলিংয়ে এসে আরও হিসেবি ছিলেন বাংলাদেশি ক্রিকেটার। এ যাত্রায় মাত্র ৪ রান দেন তিনি। রিশাদ নিজের তৃতীয় ওভার করতে আসেন ইনিংসের ১৩ তম ওভারে। সে ওভারের তৃতীয় বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে বলকে সীমানা ছাড়া করেন সিডনির ক্যামেরুন ব্যানক্রফট। সব মিলিয়ে সে ওভারে ৮ রান খরচ করেন রিশাদ। বিগ ব্যাশে নিজের প্রথম ম্যাচে মাত্র একটি বাউন্ডারি হজম করেছেন রিশাদ। তাঁর করা ৩ ওভার থেকে কোনো ছক্কা মারতে পারেননি প্রতিপক্ষের বোলাররা।
বিগ ব্যাশের আগের আসরের জন্যও রিশাদকে নিয়েছিল হোবার্ট। কিন্তু জাতীয় দলের ব্যস্ত সূচির কারণে সেবার খেলতে পারেননি তিনি। এবারও তাঁকে দলে টানে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। মূলত অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক এবং নিজেদের হেড অব স্ট্যাটেজি রিকি পন্টিংয়ের পরামর্শেই রিশাদের প্রতি আগ্রহ দেখায় হোবার্ট। সাকিব আল হাসানের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে বিগ ব্যাশে অভিষেক হলো তাঁর।