আরেকটি রেইড শুরু হওয়ার আগেই শেষের বাঁশি বাজালেন রেফারি। বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা মেতে উঠলেন উচ্ছ্বাসে। পতাকা হাতে নিয়ে মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামের ম্যাটে দিতে থাকেন ল্যাপ অব অনার। বিশ্বকাপে প্রথম পদক বলে কথা।
শনিবার নারী কাবাডি বিশ্বকাপের ২৩তম ম্যাচে মুখোমুখি হয় স্বাগতিক বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড। যেখানে থাইল্যান্ডকে ৩৯-৩১ পয়েন্টে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। তাতেই নিশ্চিত হয়েছে ব্রোঞ্জ।
থাইল্যান্ড টস জিতে রেইড বেছে নেয়। থানিয়ালাক বেনরিথ বোনাস পয়েন্ট নিয়ে শুরু করেন। দ্বিতীয় রেইড থেকে শ্রাবণী মল্লিক বাংলাদেশকে প্রথম পয়েন্ট এনে দেন—ওটা ছিল বোনাস পয়েন্ট। পরের রেইডে শ্রাবণী একজনকে আউট করেন। শুরু থেকে এগিয়ে থাকা থাইল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশকে প্রথমার্ধের মাঝামাঝি সময়ে প্রথমবারের মতো লিড এনে দেন মেইবি চাকমা। ম্যাচ চলতে থাকে সমান তালে। রেখা আক্তারি ট্যাকল করতে গিয়ে পয়েন্ট দেন। ফিরতি রেইড থেকে পয়েন্ট নিয়ে আসেন বৃষ্টি বিশ্বাস। নবম মিনিটে ইনজুরি নিয়ে ম্যাট ছাড়েন বাংলাদেশি রেইডার শ্রাবণী মল্লিক। ১১-১১ সমতা থেকে বৃষ্টি এক রেইডে দুজনকে আউট করেন। তাতে লিড পায় বাংলাদেশ। ১৪-১২ পয়েন্টে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় স্বাগতিকেরা।
বিরতির পর দ্রুতই প্রতিপক্ষকে অলআউট করে বাংলাদেশ এগিয়ে যায় ১৮-১৩ পয়েন্টে। সময়ের সঙ্গে আধিপত্য বাড়তে থাকে বাংলাদেশের। এই সময় রেইড এবং ট্যাকল—দুই বিভাগেই দারুণ নৈপুণ্য দেখায় লাল-সবুজরা। দ্বিতীয়বারের মতো থাইল্যান্ডকে অলআউট করে ৩১-১৮ পয়েন্টে এগিয়ে যায় স্বাগতিকেরা। শেষ দিকে থাইল্যান্ড মরিয়া হয়ে লড়াই করেছে বটে। তবে সেটা হারের ব্যবধানই শুধু কমাতে পেরেছে।
বিশ্বকাপে নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে উগান্ডাকে ৪২-২২ পয়েন্টে হারিয়ে আসর শুরু করে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে জার্মানিকে ৫৭-২৭ পয়েন্টে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নেয় তারা। তৃতীয় ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারতের কাছে ১৮-৪৩ পয়েন্টে হেরে প্রথমবারের মতো পরাজয়ের স্বাদ নিতে হয়।
তিন ম্যাচ শেষে রুপালী আক্তারের নেতৃত্বাধীন দলটির সংগ্রহ ছিল ৪ পয়েন্ট। সমান পয়েন্ট ছিল থাই মেয়েদেরও। এর আগে ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম বিশ্বকাপে পঞ্চম হয়েছিল বাংলাদেশ।