নিউট্রন স্টারেরা মহাকাশের অন্যতম ঘনীভূত বস্তু। এই তারকা নিয়ে সম্প্রতি গবেষণা করে বেশ কিছু নতুন তথ্য আবিষ্কার করেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সাউদাম্পটনের একদল গবেষক । এই গবেষণা কার্যক্রমের অন্যতম গবেষক ফেবিয়ান গিটিনস।
গিটিনস বিভিন্ন নিউট্রন স্টারে থাকা পাহাড়ের আকৃতি কী ধরনের হয়ে থাকে সে বিষয়ে ধারণা দেন । এ জন্য তিনি কম্পিউটাশন্যাল মডেলিং পদ্ধতির সহযোগিতা নেন। পাশাপাশি বিভিন্ন টেলিস্কোপের ছবি বিশ্লেষণ করে থাকেন তিনি। তাঁদের গবেষণাপত্র ন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমি মিটিংয়ে প্রকাশিত হয়েছে।
এই নিউট্রন স্টারগুলোতে অত্যধিক ঘনত্বের কারণে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি বেশি থাকে। ন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমি মিটিং-এর প্রবন্ধে গবেষক ফেবিয়ান গিটিনস উল্লেখ করেন, তাঁরা যে নিউট্রন স্টার মডেল নিয়ে কাজ করেছেন সেখানে পাহাড়গুলোর উচ্চতা খুব বেশি নয়। ইউনিভার্সিটি অব সাউদাম্পটনের গবেষকেরা এ বিষয়ে আরও তথ্য সংগ্রহের জন্য কাজ করছেন ।
আমাদের ছায়াপথে প্রায় এক বিলিয়ন নিউট্রন স্টার রয়েছে। ব্ল্যাকহোলের পরেই এই মহাবিশ্বে নিউট্রন স্টারের ঘনত্ব।সাধারণত সুপারনোভা বিস্ফোরণের পর তারকার যে অংশ রয়ে যায় সেটি নিউট্রন স্টার। নিউট্রন স্টার থেকে তীব্র আলোক রশ্মি নিঃসরিত হয়ে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অ্যালান গিবসন বলেন, এই গবেষণা নিউট্রন স্টার সম্পর্কে মানুষের ধারণা আরও গভীর করবে।