হোম > বিজ্ঞান

চন্দ্রগ্রহণ চলছে, ব্লাড মুন দেখা যাবে রাত সাড়ে ১১টায়

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

বাংলাদেশের আকাশে চন্দ্রগ্রহণ শুরু হয়েছে রোববার রাত ৯টা ২৮ মিনিটে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকার সময় অনুযায়ী, আজ রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টা ২৮ মিনিটে শুরু হয়েছে অত্যন্ত বিরল পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের ‘পেনুম্ব্রাল’ বা সূক্ষ্ম ছায়া পর্ব। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ আংশিকভাবে গ্রহণ শুরু হবে। বাংলাদেশসহ এশিয়ার বিস্তীর্ণ অংশ থেকে এই গ্রহণ দেখা যাচ্ছে।

এই পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণকে ‘ব্লাড মুন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। অর্থাৎ, চাঁদ রূপ বদলে হয়ে উঠবে লাল। এ রক্তিম আভা রাতের আকাশজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে। রাত সাড়ে ১১টার পর দেশের আকাশে এমন বিরল দৃশ্য দেখা যাবে।

এই চন্দ্রগ্রহণ চলবে প্রায় ৮২ মিনিট, যা সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম দীর্ঘতম গ্রহণ বলে জানিয়েছে মহাকাশবিষয়ক ওয়েবসাইট স্পেস ডটকম।

এই গ্রহণ এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে দেখা যাবে। বিশ্বের প্রায় ৮৫ ভাগ মানুষই এবারের চন্দ্রগ্রহণ দেখতে পারবে। বাংলাদেশ থেকেও দেখা যাবে এ মহাজাগতিক ঘটনা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, আজ রাত ৯টা ২৮ মিনিটের পর চাঁদ ধীরে ধীরে পৃথিবীর ছায়ায় প্রবেশ করছে। চাঁদের পুরোপুরি লালচে রূপ দেখা যাবে রাত ১১টা ৩০ মিনিট থেকে সোমবার (৮ আগস্ট) ১২টা ৫২ মিনিট পর্যন্ত। এরপর রাত ২টা ৫৫ মিনিটে চাঁদ পুরোপুরি পৃথিবীর ছায়া থেকে বেরিয়ে আসবে, শেষ হবে গ্রহণের এ মহাজাগতিক দৃশ্য।

চন্দ্রগ্রহণ দেখতে চোখের কোনো সুরক্ষা প্রয়োজন হয় না। এটি খালি চোখেই নিরাপদে দেখা যায়, যা সূর্যগ্রহণের ক্ষেত্রে সম্ভব নয়।

কীভাবে হয় পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ

পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ ঘটে তখন, যখন পৃথিবী সরাসরি সূর্য ও চাঁদের মাঝখানে চলে আসে এবং চাঁদ সম্পূর্ণভাবে পৃথিবীর ছায়ায় ঢেকে যায়।

এ সময় চাঁদ পৃথিবীর ছায়ার সবচেয়ে গাঢ় অংশ, অর্থাৎ ‘আমব্রা’র মধ্য দিয়ে অতিক্রম করে। গ্রহণের শুরু ও শেষে চাঁদ পৃথিবীর হালকা ছায়া ‘পেনামব্রা’য় থাকায় কিছুটা ম্লান দেখায়।

চাঁদ লাল হয় কেন

চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদের যে লালচে আভা দেখা যায়, তা ঘটে ‘রে লি স্ক্যাটারিং’ নামের এক বৈজ্ঞানিক কারণে। ঠিক যেভাবে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় আকাশ লালচে হয়ে ওঠে, একই প্রক্রিয়ায় চন্দ্রগ্রহণেও চাঁদ রক্তবর্ণ ধারণ করে।

পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের সময় পৃথিবী সরাসরি সূর্যালোক চাঁদের কাছে পৌঁছাতে বাধা দেয়। তবে কিছু সূর্যালোক পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল হয়ে চাঁদের দিকে পৌঁছায়। এ সময় বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করা আলোতে থাকা নীল ও বেগুনি তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি ছড়িয়ে পড়ে আর লাল ও কমলা তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো অপেক্ষাকৃত কম ছড়িয়ে চাঁদের দিকে বেঁকে যায়। ফলস্বরূপ, চাঁদ একধরনের লালচে আভা ধারণ করে। এই বৈজ্ঞানিক ঘটনাটিই ‘ব্লাড মুন’ নামের উৎস।

নাসার মতে, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ধূলিকণা, মেঘ বা আগ্নেয়গিরির ছাই থাকলে এই রক্তিম আভা আরও গাঢ় হয়। তখন চাঁদের রং আরও তীব্র লাল বা তামাটে দেখা যেতে পারে।

মঙ্গল গ্রহে প্রথমবারের মতো বজ্রপাত শনাক্তের দাবি

কৈশোর থামে বত্রিশে, বার্ধক্যের শুরু ছেষট্টির পর—চিহ্নিত হলো মস্তিষ্কের ৫ পর্যায়

ভূমিকম্পের পর্যায়ক্রম: ফোরশক, মেইনশক ও আফটারশক কী

প্রাণীদের প্রথম চুম্বন ২ কোটি ১০ লাখ বছর পুরোনো

১২ হাজার বছর পুরোনো মূর্তিতে বিশ্বের প্রাচীনতম পৌরাণিক গল্পের চিত্রায়ণ

৪০ হাজার বছর আগে একটি ম্যামথের জীবনের শেষ মুহূর্তের কথা জানলেন বিজ্ঞানীরা

মহাকাশে প্রস্রাব থেকে তৈরি প্রোটিন পাউডার হবে নভোচারীদের খাবার

ডিএনএর গঠন আবিষ্কারক ওয়াটসনের মৃত্যু, বর্ণবিদ্বেষ যাঁকে খ্যাতির শীর্ষ থেকে ডুবিয়েছে

প্রথম কবে মানুষের বন্ধু হলো কুকুর—একটি খুলি ঘিরে নতুন বিতর্ক

মহাকাশে বিশেষ চুলায় রান্নাবান্না, বারবিকিউ পার্টি করলেন চীনা নভোচারীরা