বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নিতে দলটির সমমনা ১৫টি সংগঠনের সমন্বয়ে নতুন আরেকটি জোটের ঘোষণা এল এবার। আজ রোববার বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ‘সমমনা গণতান্ত্রিক জোট’ নামের এই জোটের ঘোষণা দেওয়া হয়। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমানসহ জোটভুক্ত দলগুলোর নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
জোটভুক্ত সংগঠনগুলো হচ্ছে, ইয়ুথ ফোরাম, জিয়া নাগরিক সংসদ, ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট, শহীদ জিয়া আইনজীবী পরিষদ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নাগরিক দল, বাংলাদেশ জাস্টিজ পার্টি, সংবিধান সংরক্ষণ পরিষদ, গণতন্ত্র রক্ষা মঞ্চ, জাতীয়তাবাদী চালক দল, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা ৭১, ঘুরে দাঁড়াও বাংলাদেশ, মুভমেন্ট ফর ডেমোক্রেসি, বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক কাউন্সিল, দেশ রক্ষা মানুষ বাঁচাও আন্দোলন ও বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদ।
নবগঠিত ‘সমমনা গণতান্ত্রিক জোট’কে অভিনন্দন জানিয়ে টুকু বলেন, ‘একটা কঠিন সময়ে এই জোটের যাত্রা শুরু হলো। কঙ্করময় একটা যাত্রা শুরু হলো। এই কঙ্করকে জয় করে, পিচ্ছিল রাজপথকে জয় করে একটা গোষ্ঠীর যদি আমরা পতন ঘটাতে পারি, তাহলে দেশের মানুষের গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে। সেই লক্ষ্যে আমাদের সবাইকে এক হয়ে মাঠে থাকতে হবে।’
টুকু বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশে যে শাসন চলছে, সবাই বলে একনায়কতন্ত্র। আমি বলি একজনতন্ত্র। তাঁর কাছেই সব, পুরো রাষ্ট্রটাই তাঁর। তিনি যেভাবেই চান, রাষ্ট্র সেভাবেই চলে। এখানে কোনো আইনকানুন কিছুই লাগে না। রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য যে শিষ্টাচার লাগে, সেটাও তাঁর লাগে না। তাঁর বিরুদ্ধে আমরা বিএনপি এবং সমমনা জোট ও দলগুলো যুগপৎ আন্দোলন শুরু করেছি এবং আন্দোলন চালিয়ে যাব। এই সরকার যতক্ষণ পর্যন্ত পদত্যাগ করে একটা নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।’
সরকার আবারও ছলে-বলে-কৌশলে নির্বাচন অনুষ্ঠান করে ক্ষমতায় থাকার ষড়যন্ত্র করছে অভিযোগ করে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, এবার হয়তো দিনের ভোট রাতে হবে না। দিনের ভোট দিনেই হবে। তবে অন্য কোনো মেকানিকে হবে। ইভিএম না হলে অন্য কিছু করবে তারা। ভোট তারা নিজেদের মতো করে করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। যাতে জনগণ তাদের ভোট না দিতে পারে, তার জন্য সরকার ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।
টুকু আরও বলেন, ‘তারা (সরকার) যা চাচ্ছে তাই করছে। তারা ১৫৪টি আসনে ভোট ছাড়া নির্বাচিত হয়ে যান এবং দিনের ভোট রাতে করে থাকেন। আর বিরোধী লোকজনকে গ্রেপ্তার করে, গুলি করে এবং মামলা দেয়। এমন একটি অভিজ্ঞতার পরে বাংলাদেশের কোনো মানুষ চায় না, আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন হোক। তারা যতই কথা বলুক না কেন, নির্বাচন তাদের অধীনে সুষ্ঠু হবে না। তার আলামত আমরা দেখতে পাচ্ছি। সেই আলামতে আমরা দেখতে পাচ্ছি, আবার ষড়যন্ত্র শুরু হয়ে গেছে আমলাদের নিয়ে। কীভাবে তারা নির্বাচনকে ম্যানিপুলেট করবে।’