বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার পদ থেকে অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অব্যাহতির খবর জানেন কি-না— এমন প্রশ্নের জবাবে তৈমূর আলম খন্দকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি বিভিন্ন মিডিয়া এবং সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিষয়টি জানলাম। আমার কাছে কোনো চিঠি আসেনি। ঘটনা যা-ই হোক আমি দলীয় সিদ্ধান্তে খুশি। খবর পাওয়ার পর আমি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ধন্যবাদ জানিয়েছি।’
ধন্যবাদ কেন জানিয়েছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তৈমূর আলম বলেন, ‘২০১১ সালে যে প্রার্থীকে পাস করানোর জন্য আমাকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল সেই তো এবার আমার প্রতিদ্বন্দ্বী। অতএব এখন আমি আশ্বস্ত হলাম। বহিষ্কার করার কারণে আমার তো কোনো গার্ডিয়ানশিপ রইল না। কেউ আমাকে বলতে পারবে না যে তুমি বসে যাও। এই সিদ্ধান্তে আমি সন্তুষ্ট।’
কী কারণে বহিষ্কার করা হলো জানেন কি না—এমন প্রশ্নে তৈমূর আলম বলেন, ‘আমি জানি না কী কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে দলের সিদ্ধান্তে আমি খুশি এবং এমন সিদ্ধান্তকে আমি স্বাগত জানাই। কোনো রাজনৈতিক প্রতিহিংসা আমি বুঝি না। আমি রাজপথের লোক, আমাকে মানুষ মজলুম জননেতা বলে, এতেই আমি সন্তুষ্ট। এবং মেয়র হব ইনশা আল্লাহ, জনগণ যেভাবে নেমেছে আমার পক্ষে, আমি হয়ে যাব।’ এবার আর রাতের অন্ধকারে কেউ বলতে পারবে না ‘তুমি বইসা গিয়া ঘুমায়া যাও।’
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) নির্বাচন তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ১৬ জানুয়ারি। এই নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন তৈমূর আলম খন্দকার।
বিএনপি থেকে বিভিন্ন সময়ে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে এবং স্থানীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না দলটি। এ কারণে এবারের স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে প্রার্থী দেয়নি বিএনপি। তবে বিএনপির অনেক নেতা-কর্মীকে স্বতন্ত্রভাবে লড়তে দেখা গেছে। তৈমূরও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হাতি প্রতীক নিয়ে নাসিক নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।