হোম > রাজনীতি

দেশ কারাগারে পরিণত হয়েছে: মির্জা ফখরুল 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বর্তমান সরকার প্রতিনিয়ত মানবাধিকার লঙ্ঘন ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহ ধ্বংস করে ফেলছে জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মার্কিন রিপোর্টে দেশের মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিএনপির সাবেক মহাসচিব প্রয়াত কে এম ওবায়দুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ২০২২ সালে মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের ওপর যে রিপোর্ট দিয়েছে সেটা পড়ার পর এত লজ্জিত হয়েছি! গণতন্ত্রের লেশমাত্র এখানে নেই, মানবাধিকারের লেশমাত্র এখানে নেই। এখানে ক্রসফায়ারে বিনা বিচারে মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। গুম হয়ে যাচ্ছে, মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। সাংবাদিকদের সত্য কথা লেখার অধিকার নেই। এমন সব ভয়াবহ চিত্র এই রিপোর্টে উঠে এসেছে।’

ফখরুল আরও বলেন, ‘আজ আওয়ামী লীগ অত্যন্ত সচেতনভাবে গণতন্ত্রের জায়গা থেকে বাংলাদেশকে সরিয়ে সম্পূর্ণভাবে একটি একনায়কতন্ত্র, কর্তৃত্ববাদ, ফ্যাসিবাদ সৃষ্টি করেছে। ৩৫ লাখ মানুষ আজকে আমাদের মিথ্যা মামলায় জর্জরিত। এই দেশ একটা কারাগারে পরিণত হয়েছে।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫২ বছর পর আমাদের বলতে হচ্ছে দেশে গণতন্ত্র আর নেই। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে তাদের পুরোনো যে স্বপ্ন একটা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করতে চায়। সেই লক্ষ্যে তারা গণতান্ত্রিক সব প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভেঙে ফেলেছে। মানুষের ন্যূনতম অধিকারগুলোকে তারা কেড়ে নিয়েছে।’

সভায় কে এম ওবায়দুর রহমানের কন্যা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেন, ‘আমার বাবা দলমতের ঊর্ধ্বে থেকে সারা জীবন মানুষের জন্য, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে তিনি মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন।’

সভায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ভোট, গণতন্ত্র, নির্বাচনে বিশ্বাস করে না। ভোটাধিকারে বিশ্বাস করে না, ভোট ডাকাতি করে নির্বাচিত হয়। আর আওয়ামী লীগ যেটা বিশ্বাস করে না সেটাই তারা বলে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি, এই সরকারকে আর ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া হবে না।’

সভায় সভাপতির বক্তব্যে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আইয়ুববিরোধী স্বাধিকার সংগ্রাম থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ এবং এরপরও কে এম ওবায়দুর রহমানের ভূমিকা অনস্বীকার্য। কিন্তু এ দেশের জন্য যাঁদের অবদান আছে, সেসব ব্যক্তির নাম পরিকল্পিতভাবে বর্তমান সরকার মুছে দিতে চাইছে।’

সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির প্রচার সম্পাদক  শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জহিরুল হক শাহাজাদা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান প্রমুখ।

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নেতার শোক

খালেদা জিয়ার মৃত্যু: সাত দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির

গৃহবধূ থেকে আপসহীন নেত্রী: খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সংগ্রাম

খালেদা জিয়ার বর্ণাঢ্য জীবনের অবসান

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মহাপ্রয়াণ

৮১ আসনে বিএনপির একাধিক নেতা প্রার্থী

৩১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল জেএসডি

এনসিপিতে তিন ধরনের বিদ্রোহী নেত্রী

নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ঘোষণা জাসদের

জামায়াতের আমিরের হাতে নগদ টাকা আছে ৬১ লাখ