প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে গত বুধবার জাতীয় সংসদে এক আলোচনায় অভিযোগ করেছেন সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ। প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করার জন্য সত্যিই চক্রান্ত হচ্ছে কি না, তা তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে হারুন এ দাবি জানান।
আবুল কালাম আজাদ তাঁর দাবিতে বলেন, অর্থের বিনিময়ে সরকারি দলের লোকজনও এই চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত। ওই বক্তব্য উদ্ধৃত করে হারুন বলেন, ‘আমি নিজ কানে শুনেছি, সরকারি দলের একজন সংসদ সদস্য সংসদে দাঁড়িয়ে এই বক্তব্য দিয়েছেন। এই বিষয়ে স্পষ্ট জানতে চাই। এটি উড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। আসলেই এ ধরনের চক্রান্ত হচ্ছে কি না, কারা এই চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত তা বের করতে গভীরভাবে তদন্ত করার দাবি জানাচ্ছি।’ এ বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছেও সুস্পষ্ট বক্তব্য চান বিএনপির এমপি হারুন।
বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে ‘জাদুর বাক্স’ আখ্যা দিয়ে বিএনপির এই সংসদ সদস্য প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘যাদের দায়িত্ব দিয়েছেন তাঁদের সংযত হয়ে কথা বলতে বলুন।’ ইভিএম নিয়ে নির্বাচন কমিশনারদের বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘দায়িত্ব নিয়ে বলছি, গত নভেম্বরে আমার নির্বাচনী এলাকায় ইভিএমে যে পৌরসভা নির্বাচন হয়েছে সেখানে ভোট ডাকাতি হয়েছে। যদি নির্বাচন কমিশন প্রমাণ করতে পারে যে ডাকাতি হয়নি তাহলে যে জরিমানা করবে আমি দেব।’
হারুন বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশকে পানিতে মারছে। তারা এ দেশের বন্দর ব্যবহার করছে। কিন্তু বাংলাদেশকে ট্রানজিট দিচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে যাবেন। বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে মুক্ত হয়েছে ভারতের আনুগত্যের জন্য নয়, এটা নিশ্চিত করতে হবে।’
বর্তমান পরিস্থিতির সমালোচনা করে হারুনুর রশীদ বলেন, ‘যারা গুম হয়েছে, তাঁরা কি আইনের আশ্রয় পাবেন না? যারা আন্দোলন সংগ্রামে গুলিতে মারা যাচ্ছে তা এক জিনিস, আর গুম সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। মানবাধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়া দরকার। সরকারি দল বলছে, দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে চলছে। কিন্তু দুর্নীতি, টাকা পাচার, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, সড়ক দুর্ঘটনা এগুলো কি কমেছে? নির্বাচন ব্যবস্থার কি উন্নয়ন হয়েছে?’