হোম > রাজনীতি

আ.লীগের নেতারা জেলে যাওয়ার বিষয়ে ভাবতে শুরু করেছে: মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

‘পালাব না, প্রয়োজনে জেলে যাব’—আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘তাঁরা জেলে যাওয়ার বিষয়ে ভাবতে শুরু করেছেন।’

আজ রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত ‘যুগপৎ আন্দোলন ও রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন। 

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ওনারা বলছেন, পালাব না, প্রয়োজনে জেলে যাব। তাহলে তাঁরা জেলে যাওয়ার বিষয়ে ভাবতে শুরু করেছেন। এটাতো আরও আগে বোঝা উচিত ছিল। এত দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক দল, আমরা আশা করেছিলাম, তাঁরা জনগণের চোখের ভাষাটা বুঝবেন। তাঁদের কথাগুলো বুঝতে পারবেন। আমাদের মন্ত্রী বানাতে হবে না। আমাদের ক্ষমতা দিয়েন না, কিন্তু পরিবর্তনটা আনুন। এই দেশের মানুষকে বাঁচতে দিন। তাঁদের আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণের একটা ক্ষেত্র তৈরি করে দিন।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগের যে চারিত্রিক গঠনে সন্ত্রাস এবং চৌর্যবৃত্তি প্রধান দুটি উপাদান। যখনই তারা সুযোগ পায় এ দুটো জিনিসের বাইরে তারা যেতে পারে না। যার ফলে গত ১৫ বছরে তারা একটি সন্ত্রাসী দেশে পরিণত করেছে। অন্যদিকে পুরোপুরি একটা লুটেরা রাজত্ব তৈরি করেছে।’ 

জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। ফলে জনগণ এখন ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘হামলা মামলা মোকদ্দমার দিয়ে লাভ হয়নি অতীতে, এখনো হবে না। গত ১৫ বছরে এত কিছু করেছেন কিন্তু কই, বিএনপিকে তো স্তিমিত করে দিতে পারেননি! কত কথা বলেছেন, হাঁটু ভাঙা, মাজা ভাঙা— অনেক কিছু বলেছেন। তাই যদি হয় তাহলে কেন এত ঘাবড়ে গেছেন? এত আশঙ্কা কেন?’

সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই ‘ভয়াবহ দানব সরকারের’ পতন নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই ভয়াবহ দানব সরকারকে সরাতে আমরাই প্রথম জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছিলাম। যুগপৎ বা যেভাবেই হোক এই ঐক্যটা আমরা তৈরি করতে চাই। সেই প্রক্রিয়া আমরা শুরু করেছি। আমি আবারও জোর দিয়ে বলতে চাই, দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দলগুলোকে সঙ্গে নিয়েই আন্দোলনটা করতে চাই।’

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন— গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুমসহ প্রমুখ।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মহাপ্রয়াণ

৩১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল জেএসডি

এনসিপিতে তিন ধরনের বিদ্রোহী নেত্রী

নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ঘোষণা জাসদের

জামায়াতের আমিরের হাতে নগদ টাকা আছে ৬১ লাখ

মনোনয়নপত্র জমা দিলেন তাসনিম জারা

এনসিপির হয়ে নির্বাচনে অংশ নেবেন না যুবশক্তি নেত্রী দ্যুতি

নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না এনসিপি নেত্রী সামান্তা শারমিন

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

এনসিপির মুখপাত্র হলেন আসিফ মাহমুদ