র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘটনা অবশ্যম্ভাবী ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে চলমান নির্বাচনহীন সংস্কৃতি, দিনের ভোট রাতে লুটের সংস্কৃতি অব্যাহত রাখার জন্য সরকার র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অত্যন্ত নগ্নভাবে ব্যবহার করেছে। তাই র্যাবের বিরুদ্ধে যে নিষেধাজ্ঞা তা এক অর্থে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধেই নিষেধাজ্ঞার শামিল।’
আজ বুধবার বিএনপির যৌথ সভা শেষে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রূঢ় শোনালেও এটা অস্বীকার করার সুযোগ নাই গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই নিষেধাজ্ঞা বর্তমান সরকারের জন্য সমগ্র বিশ্ববাসীর পক্ষ থেকে একটি শক্তিশালী বার্তা। আর সেটা হলো কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এই ধরনের বিচারহীন সংস্কৃতি চলতে পারে না। কেবলমাত্র একটি অগণতান্ত্রিক কর্তৃত্ববাদী সরকারের শাসনকালেই এই ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়। বাংলাদেশে বিশ্ববাসীর কাছে বর্তমানে সেরকমই একটি কর্তৃত্ববাদ ও মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং দুর্নীতি আশ্রয়ী সরকার ব্যবস্থা চালু রয়েছে। বিএনপি মনে করে র্যাবের ওপরে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সকল দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করবার লক্ষ্যে আইন শৃঙ্খলাকারী বাহিনীকে বেআইনিভাবে ব্যবহার করার সকল দায়িত্ব তাদেরই।’
র্যাবের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তাদের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পেছনে বিএনপি লবিস্ট নিয়োগ করে কাজ করেছে বলে সরকারের মন্ত্রী-নেতারা অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এটা তো খুব স্বাভাবিক যে, এখন তাঁরা চিহ্নিত হয়ে গেছে। এখন তাঁদের ওপরে যখন সমস্ত কিছু পড়বে, তখন দায় তাঁদেরই নিতে হবে। তখন তাঁরা দায় অন্যের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করবে। এটাতে জনগণের বিভ্রান্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই। র্যাব তো আমরা চালাই না, সরকার চালায়। তাঁদের নির্দেশ দেয় সরকার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেয় সরকার। আমাদের কি করার থাকতে পারে।’