গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, দেশের পরিবর্তনের প্রশ্নে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও মাফিয়ার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান পরিষ্কার হওয়ার পরই বিবেচনা করা হবে গণঅধিকার পরিষদ কোনো জোটে যাবে কি না। আজ শনিবার (৮ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টায় দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ড বটতলি মোড়ে ছোট যমুনা ব্রিজসংলগ্ন প্রধান সড়কের পাশে আয়োজিত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নুরুল হক বলেন, ‘দেশে আর যেন কোনো ফ্যাসিস্ট সরকার না হয়, সেই প্রচেষ্টার দল গণঅধিকার পরিষদ। পুলিশ বলেন, আর্মি বলেন, এমপি-মন্ত্রী বলেন সকলের বেতন দেওয়া হয় জনগণের ভ্যাট এবং ট্যাক্সের টাকায়। এই আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কিংবা প্রশাসন কোনো রাজনৈতিক দলের কাছে যেন নতিস্বীকার না করে। রাজনৈতিক দলের হেলানো আঙুলে উঠে এবং না বসে। তারা যেন জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে আইনের মধ্যে থেকে কাজ করতে পারে। জনগণের প্রতি ইনসাফ প্রদর্শন করে। সেই লক্ষ্যে পুলিশের নিয়োগ এবং পদোন্নতির জন্য একটি স্বাধীন কমিশন করার প্রস্তাব করেছি।’
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি আরও বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দলই সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজমুক্ত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয় না। কারণ, তারা ভোটকেন্দ্র দখল করতে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের পৃষ্ঠপোষক করতে চায়। গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য সকলে মিলেমিশে একটি ঐকমত্যের সরকার গঠনের চেষ্টায় আমরা আছি। কিন্তু আমরা চাইলেই হবে না। সব দল ও সকলে মিলেমিশে আগামী নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ কোন দিকে পরিচালিত হবে, সেই ফয়সালা হবে।’