হোম > রাজনীতি

ধাক্কা দিয়ে ফেলা যাবে কি না কাজেই তা প্রমাণ হবে: মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

‘আওয়ামী লীগকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া এত সহজ না’ বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘কাজেই সেটা প্রমাণ হবে।’

প্রায় এক মাস কারারুদ্ধ থাকার পর আজ বৃহস্পতিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রথম সংবাদ সম্মেলনে আসেন বিএনপির মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর অনেক কথারই কোনো জবাব নেই। তিনি কী বলেন, কী কারণে বলেন, কী লক্ষ্যে বলেন—তা অনেক সময় জনগণ ঠিকঠাক বুঝতে পারে না। আমরা মনে করি, এসবের জবাব দেওয়ার কোনো কারণ নেই। কাজেই সেটা প্রমাণ হবে।’ 

সরকার বিএনপির আন্দোলনে ভয় পেয়েছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, কিছুদিন আগে সরকারি দলের নেতারা বলত, আমরা রাস্তায় দাঁড়াতে পারি না, আমাদের নাকি কোমর নেই। এখন সব রকম শক্তি নিয়োগ করে আন্দোলন বন্ধ করতে জনগণের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন করছে। তার অর্থ হচ্ছে সরকারের এখন পায়ের তলায় মাটি নেই। 

‘বিএনপির যুগপৎ আন্দোলন ব্যর্থ’ বলে ওবায়দুল কাদের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের কথার গুরুত্ব দিই না। আমার মতো সারা দেশের মানুষই ওনার কথাকে গুরুত্ব দেয় না। ওনার স্মার্ট বাংলাদেশ বলার সঙ্গে সঙ্গেই যে ঘটনা ঘটেছে, এটাই সিম্বলিক ঘটনা, প্রতীকী ঘটনা ঘটেছে।’ 

বিএনপির কর্মসূচির দিনেই আওয়ামী লীগের কর্মসূচি দেওয়া নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী একটা দল। বিএনপি রাজনৈতিক যে সমস্ত শিষ্টাচার আছে, সৌজন্যতা আছে সবগুলোই বিশ্বাস করে এবং পালন করে। দুই দলের মধ্যে পার্থক্যটা এখানেই। আমরা এগুলোকে শ্রদ্ধা করি, সম্মান জানাই। অন্য দলগুলোর কর্মসূচি থাকলে আমরা অন্য জায়গায় যাই এবং তারা সেই দিনই প্রোগ্রাম দেয় এবং আক্রমণ করে।’ 

‘বিএনপি কঠোর কর্মসূচি দিলে আওয়ামী লীগ আরও কঠোর হবে’—সরকারের পক্ষ থেকে এই হুঁশিয়ারির পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির অবস্থান জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পাকিস্তানি বাহিনী যেদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আত্মসমর্পণ করে তার আগের দিনও ইয়াহিয়া বলেছিলেন, জাং জারি রাহেগা (যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে)। পতন যখন স্পষ্ট হয়, দেখতে পায় তখন এমন অসংলগ্ন কথাবার্তা বেড়িয়ে আসে।’ 

‘যেকোনো ফ্যাসিবাদী, অগণতান্ত্রিক ও একনায়কতান্ত্রিক যে সরকারগুলো থাকে তাদের জনগণের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক থাকে না, জনবিচ্ছিন্ন হয়। যখন জনগণ প্রতিবাদ করতে শুরু করে তখন এই ধরনের সরকারগুলো আরও বেশি আক্রমণাত্মক হয়, নিপীড়ন-নির্যাতন শুরু করে। কিন্তু নির্যাতন-নিপীড়ন করে কখনোই আন্দোলন বন্ধ করা যায়নি। এই আন্দোলনের বিজয় অবশ্যম্ভাবী।'' 

গণ-অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে সারা দেশে বিএনপির প্রায় শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি হামলায় আড়াই শ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন জানিয়ে দলের মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দলীয় এবং পুলিশ বাহিনীকে দিয়ে ফরিদপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকাসহ অনেক স্থানে হামলা চালিয়েছে। এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গতানুগতিকভাবে সরকার প্রশাসনকে দিয়ে বাধা, প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে।’ 

এ সময় তিনি গ্রেপ্তার বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা-কর্মীসহ সব রাজবন্দীর মুক্তির দাবি জানান। ১০ দফা দাবির সঙ্গে নতুন করে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে আগামী সোমবার (১৬ জানুয়ারি) দেশব্যাপী সব মহানগর ও উপজেলায় সমাবেশ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, আহমদ আজম খান, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শামা ওবায়েদ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। 

এদিকে আজ দুপুরে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীসহ নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে রিজভী আহমেদ মুক্তিসংগ্রাম পরিষদ। রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকির সামনে থেকে শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড়ে গিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে মিছিলটি শেষ হয়। 

এনসিপি থেকে পদত্যাগ করলেন আরিফ সোহেল

২০০৭-২৫: ৩৭ মামলার সব কটি সশরীরে থেকে মোকাবিলা করেছেন খালেদা জিয়া

এই দেশের মানুষই ছিল তাঁর পরিবার, তাঁর সত্তা, তাঁর অস্তিত্ব: তারেক রহমানের পোস্ট

খালেদা জিয়া অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি, নিজেকে বিজয়ী প্রমাণ করেছেন: মঈন খান

জরুরি বৈঠকে বিএনপি, এভারকেয়ার থেকে যোগ দিলেন তারেক রহমান

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতীয় পার্টির দুই অংশের শোক

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নেতার শোক

খালেদা জিয়ার মৃত্যু: সাত দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মহাপ্রয়াণ

৮১ আসনে বিএনপির একাধিক নেতা প্রার্থী