বর্তমান সরকার সব দিক থেকে ব্যর্থ হয়েছে এবং এই ব্যর্থতা আড়াল করতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের অসত্য ও বানোয়াট মামলা দিয়ে কারাবন্দী করা হচ্ছে—এমন অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি এই অভিযোগ করে বলেন, ‘সরকার ব্যর্থতার এক বিশাল স্তূপের ওপর বসে আছে। রাষ্ট্রীয় অর্থনীতি লোপাটে দেশে এখন চলছে ভয়ংকর এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি। দেশে জ্বালানি এখন চরম সংকটাপন্ন। ডলারের নজিরবিহীন মূল্যবৃদ্ধিতে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য অচল হয়ে পড়েছে। তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অসহনীয় লোডশেডিংয়ের কারণে শহর থেকে গ্রাম সর্বত্রই মানুষ সীমাহীন কষ্টে নিপতিত হয়েছে।’
ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এই দুঃসহ পরিস্থিতি থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্যই বিএনপির নেতা-কর্মীদের সরকার অসত্য ও বানোয়াট মামলা দিয়ে কারাবন্দী করছে।’
বিবৃতিতে ফখরুল অভিযোগ করেন, গত ২২ জুলাই একটি বক্তব্যকে বিকৃত করে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ, বিএনপির নেতা বাবুল হোসেন, মো. শিমুল সরকার, শামীম সরকার, মো. মুকুল হোসেন, হেলাল উদ্দিন রিয়াল ও জাহাঙ্গীর আলমের নামে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা বানোয়াট ও মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘রাষ্ট্রযন্ত্রের নিপীড়নের সব অস্ত্র এখন বিএনপির বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে। হত্যা, গুম থেকে শুরু করে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর মতো কর্মসূচি অত্যন্ত সফলভাবে বাস্তবায়ন করছে আওয়ামী সরকার। নিজেদের ক্ষমতা কণ্টকমুক্ত করার জন্য বিরোধী দলের অস্তিত্বকে দেশ থেকে সম্পূর্ণভাবে মুছে ফেলতে সব শক্তি নিয়োগ করেছে তারা। বিএনপির নেতা-কর্মীদের নির্বিঘ্নে চলাচল করার অধিকারও তারা কেড়ে নিয়েছে। রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদসহ বিএনপি নেতাদের নামে দায়ের করা মিথ্যা মামলা সরকারের ধারাবাহিক অমানবিক নিপীড়ন-নির্যাতনেরই বর্ধিত প্রকাশ।’
বিবৃতিতে নেতা-কর্মীদের নামে করা মামলা প্রত্যাহারের পাশাপাশি পুলিশি হয়রানি বন্ধেরও দাবি জানান মির্জা ফখরুল।