বাক্স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় শহীদ জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপি সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছিল বলে দাবি করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন।
আজ সোমবার সকালে পিআইবি মিলনায়তনে ‘প্রকাশনা উৎসব’ অনুষ্ঠানে আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ এই অনুষ্ঠান আয়োজন করে। তিনটি পুনঃপ্রকাশনার বই হলো—‘আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়নে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান’, ‘প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের উন্নয়ন উদ্যোগ’ ও ‘ফারাক্কা চুক্তি স্বাক্ষরে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ভূমিকা’।
ড. মাহদী আমিন বলেন, ‘আমরা দেখেছি, পূর্বে বিএনপি যখন সরকারে ছিল, বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক উন্নয়ন, অনেক অগ্রযাত্রার ভেতরে সবচেয়ে বড় যে সোপান, সেটা হচ্ছে সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে, সংবাদমাধ্যমের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অধিকার ও স্বাধীনতার সুরক্ষা দেওয়া হয়েছিল শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সময়। আমরা দেখলাম, বাকশালে বন্ধ হওয়া চারটির বাইরে বাকি যত পত্রিকা ছিল, সবগুলো খুলে দিয়েছিলেন। যখন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ধীরে ধীরে দেশের দায়িত্ব নিলেন, প্রতিটি গণমাধ্যমকে পূর্ণাঙ্গভাবে উন্মুক্ত করা হয়েছিল। সেই ধারাবাহিকতায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াও যতবার রাষ্ট্র পরিচালনায় এসেছেন, প্রতিটা সংবাদপত্রে পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা ছিল।’
তারেক রহমানের এই উপদেষ্টা বলেন, ‘খালেদা জিয়া যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, উনার বিরুদ্ধে এবং আমাদের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অনেক অপপ্রচার হয়েছে, যার শুরুটা বিএনপি যখন সরকারে ছিল, তখনই করা হয়েছে। তারপর একটি বারের জন্য কোনো গণমাধ্যম বন্ধ করা, কোনো সম্পাদককে মামলা দেওয়া হয়নি। কাউকে হেনস্তা করা হয়নি, গোয়েন্দা বাহিনী থেকে ফোন দিয়ে কোনো নিউজ নামানো হয়নি। এই বাক্স্বাধীনতাই বিএনপির রাজনীতির একটি অন্যতম মৌলিকত্ব।’
প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আলোচক হিসেবে ছিলেন ইতিহাসবিদ ড. আহমেদ কামাল, দৈনিক দিনকাল ডিজিটালের নির্বাহী সম্পাদক আতিকুর রহমান রুমন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ, সাংবাদিক এহ্সান মাহমুদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সভাপ্রধান ছিলেন শিক্ষাবিদ ও অর্থনীতিবিদ ড. মাহবুব উল্লাহ।