ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে গণভোট এক দিনে আয়োজনের যে দাবি বিএনপি করে যাচ্ছে, তার বিপরীতে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ আটটি দল দাবি করছে, আগামী নভেম্বরেই গণভোটের আয়োজন করতে হবে। এক দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট হওয়া যাবে না।
এই দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেছে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলনসহ ওই আট দলের নেতারা। বৈঠকে তাঁরা সিইসির হাতে তাঁদের দাবি সংবলিত স্মারকলিপি তুলে দেন।
জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন ছাড়াও নভেম্বরে গণভোট চাওয়া দলগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ নেজামী ইসলামী পার্টি, খেলাফত আন্দোলন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি।
সিইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগামী নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট আয়োজন করতে হবে। জাতীয় নির্বাচন আর গণভোট এক দিনে নয়। সিইসির সঙ্গে দেখা হয়েছে। বর্তমানে আলোচিত বিষয় হচ্ছে জুলাই জাতীয় সনদ। সনদে ২৫টি রাজনৈতিক দল স্বাক্ষর করেছে। ইসিকে আমরা বলেছি, গণভোট নভেম্বর মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে। সংশোধিত আরপিও নিয়ে কোনো কোনো দল সংশোধনী আনতে বলেছে। আমরা বলেছি, আরপিও হুবহু বহাল রাখতে হবে।’
দাবি মানতে সিইসিকে কোনো আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে কি না—এ প্রশ্নের জবাবে জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘আজকে আমরা কোনো আলটিমেটাম দিইনি। তবে আমাদের আট দলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, স্মারকলিপি প্রদানের পর কয়েক দিন অপেক্ষা করে আগামী ৩ নভেম্বর শীর্ষ নেতারা বসে পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।’
তিনি বলেন, যারা জুলাই চেতনার পরিপন্থী কাজে থাকবে, তারা জনগণের কাছে নিগৃহীত হবে। জুলাইয়ের প্রেক্ষাপটেই এত আয়োজন। তাই গণভোট আগে না করলে জাতীয় নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাবে।
স্মারকলিপি জমা দেওয়ার আগে নির্বাচন ভবনের সামনে সমাবেশ করেন দলগুলোর নেতা-কর্মীরা।