বিধিনিষেধের সঙ্গে বাস্তবতার কোনো সম্পর্ক ছিল না। কখন লকডাউন হবে, কখন হবে না–তা আমরা বিশেষজ্ঞ কমিটির পরামর্শ নিয়ে করার কথা বলেছি। কিন্তু সেটা সরকার করেনি।
মানুষকে রক্ষার নামে লকডাউন দেওয়া হলেও মানুষকে অহেতুক যন্ত্রণা দেওয়া হয়েছে। সরকারের খামখেয়ালিপনায় মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে। বুধবার (আজ) থেকে বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ার কথা থাকলেও বলা হচ্ছে অর্ধেক গাড়ি চলবে। তার মানে, গাড়িতে যাত্রীদের অনেক ভিড় হবে। এতে তো করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা আরও বেড়ে যাবে।
লকডাউনে কিছু প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে আবার কিছু প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা হয়েছে। পোশাক কারখানার শ্রমিকদের কথা ভাবা হয়নি। তাঁরা যেন খরচযোগ্য। তা না হলে অফিস-আদালত বন্ধ রাখা হয়েছে অথচ পোশাক কারখানা খোলা। পোশাক কারখানা বন্ধ করে শ্রমিকদের গ্রামে পাঠানো হয়েছিল। হঠাৎ নোটিশ দিয়ে আবার নিয়ে আসা হলো। যাতায়াতের কোনো ব্যবস্থা করা হলো না।
করোনাকালে সরকারের সীমাহীন অব্যবস্থাপনায় সমাজে বৈষম্য বেড়ে গেছে। দুই কোটির বেশি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে গেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, করোনাকালে ১১ হাজারের বেশি মানুষ নতুন করে কোটিপতি হয়েছে।
টিকা নিয়েও চরম কেলেঙ্কারি করেছে সরকার। শুরু থেকে ব্যবসায়ীদের স্বার্থ দেখতে গিয়ে সাধারণ মানুষের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। সরকার যে প্রচার করত, জনগণের সচেতনতার অভাব রয়েছে, তাই ঝুঁকি বাড়ছে–এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। জনগণ যথেষ্ট সচেতন রয়েছে। সরকারের অপব্যবস্থাপনার কারণে এই সংকট তৈরি হয়েছে। তার প্রমাণ টিকা নেওয়ার জন্য টিকাকেন্দ্রে মানুষের উপচে পড়া ভিড়।
বুধবার (আজ) থেকে বিধিনিষেধ উঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে, এটা সরকারের দায়িত্বহীন সিদ্ধান্তের আরেকটি উদাহরণ।