রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা ও মেয়েকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন গৃহকর্মী আয়েশা আক্তার।
আজ বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলামের খাসকামরায় তিনি জবানবন্দি দেন বলে নিশ্চিত করেছেন আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই মিজানুর রহমান।
ছয় দিনের রিমান্ড শেষে আজ দুপুরে আয়েশাকে আদালতে হাজির করে মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ। এরপর তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার এসআই মো. সহিদুল ওসমান মাসুম ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার আবেদন জানান। আবেদন অনুযায়ী জবানবন্দি গ্রহণ করেন আদালত। পরে আয়েশাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে গত সোমবার আয়েশার স্বামী জামাল শিকদার রাব্বি দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডে ১৪ তলার একটি আবাসিক ভবনের সপ্তম তলায় ৮ ডিসেম্বর সকালে লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তাঁর মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজকে (১৫) ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। সেদিন রাতে গৃহকর্মী আয়েশাকে আসামি করে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন লায়লা আফরোজের স্বামী স্কুলশিক্ষক আ জ ম আজিজুল ইসলাম।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ৮ ডিসেম্বর সকাল ৭টার দিকে বাসা থেকে উত্তরায় স্কুলের উদ্দেশে রওনা দেন আজিজুল ইসলাম। সেখানে পৌঁছানোর পর স্ত্রীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করেও তাঁকে পাননি তিনি। পরে বাসায় ফিরে স্ত্রী ও মেয়েকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান।
সাভার থেকে ১০ ডিসেম্বর রাব্বিকে এবং ঝালকাঠির নলছিটি থেকে আয়েশাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন আয়েশাকে ছয় দিন ও রাব্বিকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।
জানা গেছে, আয়েশা আজ জবানবন্দিতে বলেছেন, তিনি লায়লা আফরোজ ও নাফিসাকে খুন করেন। ওই বাসায় কাজে যোগদানের পর দুই হাজার টাকা চুরি করেন আয়েশা। ঘটনার দিন সকালে তিনি ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন চুরি করতে গেলে লায়লা আফরোজ তাঁকে ধরে ফেলেন। পেছন থেকে ধরার কারণে আয়েশা হাতে থাকা ছুরি দিয়ে লায়লা আফরোজকে আঘাত করেন। পরে নাফিসা এগিয়ে এলে তাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়।