খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ও অবিলম্বে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার নেতা-কর্মীরা।
আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনসংলগ্ন মহুয়া মঞ্চে শিক্ষার্থীদের এই অনশন কর্মসূচি শুরু হয়। এতে অংশ নিয়েছেন মার্কেটিং বিভাগের আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়াম, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের নাহিদ হাসান ইমন ও জিয়া উদ্দিন আয়ান, চারুকলা বিভাগের জান্নাতুল ফেরদৌস আঞ্জুম, নৃবিজ্ঞান বিভাগের নাজমুল ইসলাম লিমন, ইংরেজি বিভাগের সাজ্জাদ হোসেন ও ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের কাজী মেহরাব তূর্য।
অনশনরত আরিফুজ্জামান বলেন, ‘দুই দিন ধরে কুয়েটের শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে অনশন করছে। কিন্তু আমরা দেখেছি বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের মতোই অন্তর্বর্তী সরকারও শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিতে নীরব ভূমিকা পালন করছে। শিক্ষার্থীদের অনশনের পরিপ্রেক্ষিতে আজকে শিক্ষা উপদেষ্টা তাদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন, কিন্তু তিনি কোনো যৌক্তিক সমাধান করতে পারেননি। কুয়েটের ভিসি তাঁর পদে বহাল থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন। দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাঁকে ভিসি পদ থেকে অপসারণ করতে হবে।’
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব জিয়া উদ্দিন বলেন, ‘কুয়েটের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে আমরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরণ অনশনে বসেছি। অনশনরত শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে যাচ্ছে, কিন্তু এখনও ইন্টেরিমের ঘুম ভাঙছে না। লাশের ওপর দিয়ে ক্ষমতায় আসা ইন্টেরিম শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গাদ্দারি করছে। কুয়েটের ভিসিকে তাঁর পদ থেকে অপসারণ করা না হলে আমরা আরও কঠোর আন্দোলনের ডাক দেব।’