জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদ্যাপিত হচ্ছে ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি। এ উপলক্ষে ষাটোর্ধ্ব প্রাক্তন শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে ১০ বছরের বর্তমান শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে জমে উঠেছে এক আবেগঘন নবীন-প্রবীণের মিলনমেলা। যেন সবাই ফিরে গেছেন শৈশবের স্কুলজীবনে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বেলুন উড়িয়ে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্যা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম।
এর আগে তীব্র শীত ও কুয়াশা উপেক্ষা করে ভোর থেকেই স্কুল প্রাঙ্গণে জড়ো হতে থাকেন প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে কোরআন তেলাওয়াত, গীতাপাঠ, সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন, শপথপাঠ ও শারীরিক ব্যায়ামের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির সূচনা হয়।
বেলা ১১টায় প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে স্কুল প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে জনতা ব্যাংক মোড়, থানা রোড, কাঠপট্টি, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ সড়ক ও কোর্ট চত্বর হয়ে পুনরায় স্কুল প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।
প্রথম দিনের কর্মসূচিতে স্মৃতিচারণা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন আয়োজন রাখা হয়েছে।
ব্রিটিশ-ভারতের সরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হাতে গোনা যে কয়েকটি বিদ্যালয় রয়েছে, ফরিদপুর জিলা স্কুল তার অন্যতম। ১৮৪০ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিদ্যালয়টি এই অঞ্চলের শিক্ষা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও নানা সামাজিক আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। দীর্ঘ পথপরিক্রমায় আজও ফরিদপুর জিলা স্কুল একটি সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজস্ব মর্যাদা ও ভাবমূর্তি অটুট রেখেছে।
অনুষ্ঠানকে সফল করতে গঠন করা হয়েছে ‘গৌরবময় ১৮৫ বর্ষ উদ্যাপন ও পুনর্মিলনী উদ্যাপন কমিটি’। ২১ সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটির আহ্বায়ক ফরিদপুরের বিশিষ্ট চিকিৎসক মোস্তাফিজুর রহমান শামীম এবং সদস্যসচিব ওয়াহিদ মিয়া কুটি। এ ছাড়া বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়নে ১৮টি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে।
উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান শামীম বলেন, ‘এই উৎসবের মূল উদ্দেশ্য আমাদের প্রিয় স্কুলের সমৃদ্ধ অতীত ও ঐতিহ্য সবার সামনে তুলে ধরা এবং নতুন প্রজন্মকে তাদের ইতিহাস ও শিকড়ের সঙ্গে পরিচিত করা।’
আয়োজক কমিটি জানায়, অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনের সাংস্কৃতিক পর্বে জনপ্রিয় নগরবাউল জেমস সংগীত পরিবেশন করবেন।