২০১৩ সালে ঘোষণার পর ১২ বছর কেটে গেলেও এখনো জাতীয়করণের বাইরে রয়ে গেছে দেশের প্রায় ৫ হাজার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এমন পরিস্থিতিতে ‘এক দফা এক দাবি—জাতীয়করণ চাই’ স্লোগান দিয়ে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষকেরা।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
কর্মসূচিতে বক্তারা অভিযোগ করেন, ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি তৎকালীন সরকার সব বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের ঘোষণা দিয়েছিল। পরে বিভিন্ন ধাপে অনেক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হলেও ২০১৯ সালের ২৫ মে’র আগে প্রতিষ্ঠিত প্রায় ৫ হাজার বিদ্যালয় এখনো এর বাইরে রয়ে গেছে।
মানববন্ধনে বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির মহাসচিব মো. ফিরোজ উদ্দিন বলেন, জাতীয়করণের জন্য কনসালটেশন কমিটি সুপারিশ করলেও বাস্তবায়ন হয়নি। এতে হাজারো শিক্ষক-কর্মচারী বঞ্চিত হচ্ছেন।
যুগ্ম সচিব সুমন কুমার চাকি বলেন, ‘২০১৮ সাল থেকে আমরা আন্দোলন করছি। গত ২৬ জুলাই আবারও সুপারিশ করা হলেও এখনো কোনো ফল নেই। সরকার দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে আমরা বৃহত্তর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হব।’
‘রাজনৈতিক তকমা’ দিয়ে ৫ হাজার বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে—মানববন্ধনে এই অভিযোগ তোলেন নীলফামারীর শিক্ষক নেতা মখলেছুর রহমান।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. মামুনুর রশিদ শিকদার।
তিনি বলেন, ‘আমরা বৈষম্য চাই না। সরকারি কিংবা বেসরকারি সব প্রাথমিক বিদ্যালয়কেই জাতীয়করণের আওতায় আনতে হবে। এক দেশে দুই নীতি চলবে না।’