বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন ২০ জন। আজ বুধবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ সাক্ষ্য দেন আশুলিয়া থানার এসআই মো. আশরাফুল হাসান। জবানবন্দি শেষে তাঁকে জেরা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা।
জবানবন্দিতে আশরাফুল হাসান বলেন, চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল ডিউটি করার সময় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাঁকে জানান, আশুলিয়া থানাসংলগ্ন মুনির ও লতিফ মণ্ডলের পুরোনো টিনশেড বাড়ির সীমানাপ্রাচীরের মধ্যে পরিত্যক্ত অবস্থায় কয়েকটি গুলি পড়ে আছে। পরে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি চার্জারসহ ছয়টি রাইফেলের গুলি উদ্ধার করেন। এসব গুলির পেছনে ইংরেজিতে ৭.৬২ লেখাসহ অন্যান্য লেখা ছিল। তিনি গুলিগুলো আলামত হিসেবে জব্দ করেন।
গত বছরের ৫ আগস্ট সাভারের আশুলিয়ায় পুলিশ গুলি চালানোর পর ছয় তরুণকে ভ্যানে তুলে আগুন ধরিয়ে দেয়। তাতে ছয়জনের দেহ আগুনে পুড়ে যায়। তবে পোড়ানোর সময় একজনের দেহে প্রাণ ছিল বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
শুনানির সময় এই মামলায় গ্রেপ্তার আটজনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তাঁরা হলেন ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আব্দুল্লাহিল কাফী, ঢাকা জেলা পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুল ইসলাম, ডিবি পরিদর্শক আরাফাত হোসেন, এসআই মালেক, এসআই আরাফাত উদ্দিন, এএসআই কামরুল হাসান, আবজাল হোসেন ও কনস্টেবল মুকুল। এ ছাড়া সাবেক এমপি সাইফুল ইসলামসহ আটজন এখনো পলাতক।